নানা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে রোববার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অবশেষে অংশ নিচ্ছে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই ১৬ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষা বোর্ড বিশেষ বিবেচনায় এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুর মোহাম্মদ।
জানা গেছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নানা জটিলতার কারণে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রামু চৌমুহনী স্টেশনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে দাবি করে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বলেন, এবারের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪৭ জন ছাত্রছাত্রী।
এরমধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১১৭ জন। এরা সবাই এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পায়। তিনি জানান, পরবর্তীতে ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশেষ বিবেচনায় ১৬ জন ছাত্রছাত্রীকে ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ১৬ শিক্ষার্থীর ফরম ফিলাপের কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর প্রায় একমাস পর জানানো হয়, ওইসব (১৬ জন) শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ হবে না। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক থেকে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফরম ফিলাপ করা ওই ১৬ জন ছাত্র–ছাত্রীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমিত দেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, সমস্যাটি কয়েকমাস আগের। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের গাফিলতির কারণে মূলত এটি জটিল আকার ধারণ করে। সঠিক সময়ে সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হলে জল এতদূর গড়াত না। এমনকি পরীক্ষার একদিন আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ না করলে হয়ত এ সমস্যার সমধানও হতো না। এছাড়াও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে রেজিস্ট্রশন না হওয়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে জানান তারা।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফাহমিদা মুস্তফা জানান, প্রাথমিকভাবে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৬ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের এডমিট কার্ড আমাদের হাতে চলে এসেছে। বিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।