এসএসসি : কর্ণফুলীতে এগিয়ে পিডিবি, পিছিয়ে চরলক্ষ্যা উচ্চ বিদ্যালয়

কর্ণফুলী প্রতিনিধি | রবিবার , ১২ মে, ২০২৪ at ৫:৫৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এসএসসি পরীক্ষায় ৮ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮’শ ৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ৩’শ ৩১ জন। ফেল করেছে ৪৬৫ জন। পুরো উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন পরীক্ষার্থী।

কর্ণফুলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলীতে এবার এসএসসিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাশের হার ৭৪.৮৬% ও মাদরাসায় পাশের হার ৮৮.৫৩%।’

পাসের হারে সর্বোচ্চ শত ভাগ পিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে ৪৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন ৪৭ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ জন। কোন ফেল নেই।

অন্যদিকে, সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে চরলক্ষ্যা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করেছেন ১৭৮ জন। ফেল করেছে ১০৯ জন। পাশের হার ৬২.০২%।

গত বছরে পাশে এগিয়ে থাকা আজিম হাকিম স্কুল এন্ড কলেজে এবারে ভয়াবহ ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ বিদ্যালয় থেকে ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩২১ জন। ফেল করেছে ১৩৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। পাশের হার ৭০.২৫%।

অথচ গত ২০২৩ সালে আজিম হাকিম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২টি জিপিএ-৫ সহ ১৩৫ জন পাশ করে। তাঁদের পাশের হার ছিলো তখন ৯১.২২%।

আছিয়া মোতালেব রিজিয়া নাছরিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ ২৭২ জন পাশ করে। ফেল করেন ৯৯ জন। পাশের হার ৭৩.৩২%।

কর্ণফুলী আবদুল জলিল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে ১৪১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ ৪টি জিপিএ-৫ সহ ১১১ জন পাশ করে। ফেল করেছে ৩০ জন। তাঁদের পাশের হার ৭৮.৭২%।

কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয় (হাজী ওমরা মিয়া চৌধুরী বহুমুখী) থেকে ১০৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮৩ জন পাশ করে। ফেল করে ২২ জন। তাঁদের পাশের হার ৭৯.০৫%।

গত বছরে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়া
দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭টি জিপিএ-৫ সহ পাশ করেছেন ২৪৭ জন। ফেল করেছেন ৫৪ জন। তাঁদের পাশের হার ৮২.০৬%।

মরিয়ম আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২ টি জিপিএ-৫ সহ ১২৬ জন পাশ করে। ফেল করেছে ১৫ জন। তাঁদের পাশের হার ৮৯.৩৬।

এছাড়াও ফয়জুল বারী ফাযিল মাদ্রাসা,
শিকলবাহা অহিদিয়া মাদ্রাসা, চরলক্ষ্যা সিরাজুল মনির দাখিল মাদ্রাসা পাশের হার ৮৮.৫৩%।

এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথের কাছে জানতে চাওয়া হয়
গত বছরে পাশের হারে এগিয়ে থাকা আজিম-হাকিম স্কুল এন্ড কলেজে এবার ফলাফল বিপর্যয় কেন? আর এত পরীক্ষার্থী কোথা থেকে পেল প্রতিষ্ঠানটি?

এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আমি উপজেলা থেকে বই দেওয়ার সময় বলেছিলাম এত শিক্ষার্থী ভর্তি করালে ফলাফলে প্রভাব পড়বে। ঠিকেই তাই হয়েছে। স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন বিষয়টি সভাপতি অবগত।’

৪৫৭ জন শিক্ষার্থীর বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘ উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যত এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো সবই ভর্তি করিয়েছিলো আজিম-হাকিম স্কুল ও চরলক্ষ্যা উচ্চ বিদ্যালয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে দেখেনি এসব শিক্ষার্থীরা আমাদের ফাইনাল মডেল টেস্টে অংশ গ্রহণ করেছে কিনা। যার জন্য তাঁদের এত ফল বিপর্যয় বলে আমি মনে করি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা যুবক
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে এসএসসিতে বেড়েছে পাসের হার, কমেছে জিপিএ-৫