এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বেই হবে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার লড়াই। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসর শেষেই আবার মুখোমুখি হবে দুই দল। গত বছর স্থগিত হওয়া সিরিজটির নতুন সূচি ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তিনটি করে টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলবে দুই দল। যথারীতি সিরিজটি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যেটিকে ‘হোম ভেন্যু’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ২ অক্টোবর প্রথম টি–টোয়েন্টি দিয়ে শুরু মাঠের লড়াই। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩ অক্টোবর ও ৫ অক্টোবর। ওয়ানডের লড়াই শুরু ৮ অক্টোবর। পরের দুই ম্যাচ ১১ ও ১৪ অক্টোবর। ম্যাচগুলোর ভেন্যু অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারলে এই টুর্নামেন্ট শেষে একবারে আফগানদের সঙ্গে সিরিজ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে গেলে অবশ্য দেশে ফিরে পরে আবার আরব আমিরাতে যাবেন লিটন দাসরা। দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর। শারজাহতে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২–১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল আফগানরা। অবশ্য ওয়ানডেতে দুই দলের সিরিজ সাফল্য এখনও সমানে সমান। চার সিরিজের প্রথম দুটি জিতেছিল বাংলাদেশ। আর পরের দুটি জিতেছে আফগানিস্তান। টি–টোয়েন্টিতে এই দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে তিনটি। প্রথমটি জিতেছিল আফগানিস্তান। পরেরটি শেষ হয়েছিল ১–১ সমতায়। সবশেষ ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সিরিজটি ২–০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এদিকে এশিয়া কাপের জণ্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছে বাংলাদেশ দল। এরই মধ্যে ঢাকায় ক্যাম্প শেষ করে এখন সিলেটে ক্যাম্প করছে টাইগাররা। এশিয়া কাপের আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরই মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। যেখানে জায়গা হয়নি সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে বাংলাদেশ দলের চোখ এখন এশিয়া কাপের দিকে। কখনোই এশিয়া কাপ জিততে না পারা বাংলাদেশ দুইবার অবশ্য ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু ট্রফি ছোঁয়া হয়নি। এবারে তাই এশিয়া কাপের ট্রফি জয়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ দল। যদিও গ্রুপ পর্বের বাধা টপকানোটা আগে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের জন্য। কারণ গ্রুপ পর্বে রয়েছে শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানের মত শক্ত দুটি দল। এই দুই দলকে টপকে পরের রাউন্ডে যেতে পারে কিনা বাংলাদেশ সেটাই আগে দেখার বিষয়।