এলাকার দাগী কিছু লোক সুবিধা না পেয়ে প্রলাপ বকছেন : লতিফ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম১১ বন্দরপতেঙ্গা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষেবিপক্ষে মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি এম এ লতিফ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। সুমনের পক্ষে গত সোমবার এক মতবিনিময় সভা বন্দর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা লতিফের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আনেন।

এ ব্যাপারে এম এ লতিফ আজাদীকে বলেন, এলাকার দাগী কিছু লোক তার কাছে সুবিধার জন্য আসলেও তিনি কাছে ভিড়তে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা প্রলাপ বকছেন।

সোমবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতবিনিময় সভা শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এম এ লতিফ এলাকায় হাসপাতাল করবেন বললেও করেননি। আমরা নৌকার বিরুদ্ধে যাইনি। একজন ‘মাফিয়া’র বিরুদ্ধে গেছি। এখন আমরা যার জন্য কাজ করছি তিনি একজন দেশদরদী।

বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, ভুল বোঝার সুযোগ নেই। এটি আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা নয়। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সভায় উপস্থিত থাকলেও সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী আসেননি। সাধারণ সম্পাদক দলীয় কোনো চিঠি ইস্যু করেননি। পিএসকে দিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের মিটিং বলে ফোন করিয়ে সবাইকে ডেকে এনেছেন। পিএস শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর ও তো হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের অফিসে বসে চানাস্তা খেয়ে চলে যাওয়ার নাম রাজনীতি নয়। রাজনীতি করতে হয় মাঠে। আমি মাঠের কর্মীদের সুখদুঃখের সাথী। তাদের সাথেই আছি।

তিনি বলেন, এলাকায় অবৈধ কাজের সাথে যারা জড়িত, যারা এমপির কাছে জায়গা পায়নি, তাদেরকে দিয়ে বক্তৃতা করিয়েছে। সাধারণ মানুষের সুখেদুঃখে এবং মাঠে ময়দানে আমার বিচরণ। গণমানুষের পাশে থাকা, তাদের সুখদুঃখের সাথী হওয়া, তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে রাজনীতি। অথচ ওরা যতগুলো মিটিং করেছে সবগুলো চার দেয়ালের ভিতরে।

তিনি বলেন, গার্মেন্টেসের মাল চুরি করা, কন্টেনার চুরি করা চোরডাকাতের সাথে আমার কেমনে হবে? তাদের কাছে ভিড়তে দিইনি বলেই তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে।

তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের পাশে আছেন উল্লেখ করে বলেন, অনৈতিক কাজ যারা করে তাদের এড়িয়ে চলি। ওদের অপকর্ম ‘ওন’ করে গণদুশমন হব? নাকি আমার নেত্রীকে গণদুশমন বানাব? এই আসনের জনগণই তাদের অপকর্মের জবাব দেবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্থায়ী কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হয় না
পরবর্তী নিবন্ধপর্যটন ও বিনোদন এলাকায় হকার উচ্ছেদের ঘোষণা মেয়রের