চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল অভিযোগ পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভীকে চিঠি দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে লোহাগাড়া উপজেলার সদস্য প্রার্থী আনোয়ার কামাল স্থানীয় সংসদ সদস্য নেজামুদ্দীন নদভীর বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এই ব্যাপারে আমরা উনাকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে জবাব দিতে বলেছি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লোহাগাড়া-১৫ আসনের জেলা পরিষদের সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার কামালের অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য নদভী অপর সদস্য প্রার্থী এরফানুল করিম চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া এরফানুল করিমকে ভোট দিতে নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে ভোটারদের মধ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে (টিআর খাদ্যশস্য/নগদ টাকা) সরকারি বরাদ্দ বিতরণ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে; যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী।
অপর এক চিঠিতে আনোয়ার কামাল আরও অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্যের এপিএস হওয়ার সুবাধে এরফানুল করিম চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় মোটরসাইকেলের শোডাউন ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এই অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গতকাল শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারকাজে সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আচরণবিধি লক্সঘনের শামিল। এরফানুল করিম সংসদ সদস্য নদভীর রাজনৈতিক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস)। তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে লোহাগাড়া থেকে সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ দুজন, সাধারণ সদস্য পদে ৪৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫ উপজেলায় ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে। মোট ২৭৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।