আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের ৮ম সভা আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় সংসদ ভবনের লেভেল ৯–এ সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাদশ জাতীয় সংসদের এটাই হতে পারে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের শেষ সভা। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভায় এমপিদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২ অক্টোবর রোববার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন। একাদশ জাতীয় সংসদের এটিই হবে শেষ অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৯০ দিনের সময় গণনা শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। সভাটি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের শেষ সভা হতে পারে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোট এবং জাতীয় পার্টিসহ ছোট–ছোট অনেক দল প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নানাভাবে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ এলাকার প্রার্থীদের ওপর বেশ কয়েকটি জরিপ শেষ করেছে। এসব জরিপের ফলাফল দলীয় হাইকমান্ডের টেবিলে রয়েছে। আর এ জরিপের ওপর ভিত্তি করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা অনেকটা চূড়ান্ত করে রেখেছে দলীয় হাইকমান্ড। মাঠ পর্যায়ের জরিপে চট্টগ্রামে অনেক এমপির জনবিচ্ছিন্নতার চিত্র উঠে এসেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। আবার অনেক এমপির জনসম্পৃক্ততার সুখবরও আছে। তবে এবার চট্টগ্রামের দুই–তিনজন এমপি যে বাদ পড়ছেন তা অনেকটা নিশ্চিত বলে এই সূত্র জানিয়েছে।
গত ১২ জানুয়ারি রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে বিতর্কিত এমপিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় প্রধান আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় এমপিদের সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচন কঠিন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে জানিয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে ওইদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কে কী করছে তার সব তথ্য আমার কাছে আছে। যাদের বদনাম আছে, নানা অপকর্মে নাম জড়িয়েছে, তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। জনগণের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, জনগণের পাশে যারা দাঁড়ায় তারাই নমিনেশন পাবে। আর যারা জনবিচ্ছিন্ন, এলাকার মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই তাদের দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর নিচ্ছি। সবার আমলনামা আমার কাছে আছে। মাঠ জরিপের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’