এই স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র অধিকারী সাধারণ মানুষ। যেখানে অসাধারণের দায়িত্ব পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। যাদের তাজা দেহ বিসর্জনের মাধ্যমে দেশে জনগণ প্রাণ খুলে কথা বলার স্বাধীনতা এবং অন্যান্য সব বঞ্চিত চাহিদার যোগান পেয়েছে বা পাবে তাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে। আর যারা লড়াই করতে করতে বেঁচে গেছে তাদের নিয়ে প্রতিটি অঞ্চলে সমন্বয় গঠন করতে হবে। এবং দেশের প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই তাদের পরামর্শের গুরুত্ব দিতে হবে।
বিজয়ের উল্লাসে মানুষ ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ তথা সৃষ্টির সেরা জীব সেটা ভুলে গেলে চলবে না। অবশ্যই যারা অন্যায় করেছে তারা শাস্তি ভোগ করবেই তবে তা শুধু সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দেওয়াই সর্বোত্তম পন্থা। বিজয় উল্লাস ঘিরে কোনো ধর্মের উপর অকারণে হামলা–মামলা কিংবা কোনো প্রকার ক্ষতি সাধন করা যাবে না।
যারা ক্ষমতার প্রভাবে অন্যায়–অবিচারে লিপ্ত ছিলো, এ পর্যায়ে তাদের বিনা শর্তে ক্ষমা করে দিতে হবে। কেননা ‘ক্ষমা একটি মহৎ গুণ’। তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। মনে রাখবেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন’ তাই পরস্পর হাতে হাত রেখে, হিংসা–বিদ্বেষ, অন্যায়–অবিচার, জুলুম–নির্যাতন বর্জন করে সামনে এগিয়ে গেলেই অতি শীঘ্রই একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠিত হবে।