সৌদি আরব থেকে আসা একজন রোহিঙ্গাকে আদালত কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়েছে।
মনিরুল ইসলাম প্রকাশ ইব্রাহিম (৩০) নামের সৌদি প্রবাসী এই মিয়ানমার নাগরিককে আজ শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং মধুর ছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে ঢাকা বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
তিনি কুতুপালং ক্যাম্প নং-৩, ব্লক নং-এ বসবাসকারী সাদিকা বিশ্বাস প্রকাশ নজির আহম্মদের ছেলে।
পরে তাকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ(সিআইসি) কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রেরণ করেছেন।
ঢাকা বিমানবন্দর থানার এসআই মাহবুব জানান, রোহিঙ্গা মনিরুল ইসলাম প্রকাশ ইব্রাহিম গত ২০ জুন সৌদি আরব হতে ঢাকা বিমানবন্দরে আসলে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করে।
বিমানবন্দর থানা পুলিশ মনিরুলকে বিমানবন্দর থানার সাধারণ ডায়েরি (নং ৮৩১, (তাং২০/৭/২১) মূূূলে ধারাঃফৌঃকাঃবিঃ ৫৪) মতে আদালতে প্রেরণ করে।
আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং আসামী রোহিঙ্গা হওয়ায় তাকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেরণ করার আদেশ প্রদান করে।
বিমানবন্দর থানা পুলিশ আদালতের আদেশ মোতাবেক আসামিকে কেরানীগঞ্জ জেলখানা থেকে মধুর ছড়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
সৌদি আরব থেকে আসা মনিরুল ইসলাম প্রকাশ ইব্রাহিম বলেন, “আমি পাসপোর্ট বিহীন গত ৪ বছর পূর্বে সৌদি আরব যাই। সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করাকালে গত ৪ মাস আগে সৌদি আরব পুলিশ আটক করে জেলখানায় রাখে। জেলখানা থেকে গত ১৯ জুন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।”
উল্লেখ্য, মনিরুলের মা-বাবা ২০১৭ সালে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে এসে ক্যাম্প নং-৩ এর ব্লক-এ ঠিকানায় বসবাস করে আসছে।
এ বিষয়টি অবগত করা হলে তাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ দেন ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি)।
পরে এপিবিএন সদস্যরা সৌদি প্রবাসী রোহিঙ্গা মনিরুল ইসলাম প্রকাশ ইব্রাহিমকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে প্রেরণ করে বলে জানান কক্সবাজার ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) মোহাম্মদ নাইমুল হক।
এদিকে, কোনো কাগজপত্র ছাড়া সৌদি সরকার কীভাবে এই রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠালো নাকি কোনো বাংলাদেশী পাসপোর্ট বা জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে ‘আউট পাস’-এর মাধ্যমে এসেছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি বলে দাবি করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, “এভাবে যদি হয় তাহলে সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থান করা কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
এ বিষয়টি কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণেরও দাবি করেন তিনি।