নগরীর ইপিজেড নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির দুটি মসজিদে আত্মঘাতী গ্রেনেড হামলার ঘটনায় এবার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলামের আদালত চার্জ গঠনের এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিদের মধ্যে ঈসা খাঁ ঘাটির বল কিপার মো. আব্দুল হান্নান, মো. রমজান আলী, মো. বাবুল রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত জঙ্গি মো. আব্দুল গাফফার কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
আদালতের পেশকার মাসুদ হাসান আজাদীকে চার্জ গঠন সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চার্জ গঠন পরবর্তী আগামী বছরের ২৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত এবং কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকা জেএমবি সদস্যদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, হামলার পর ইপিজেড থানায় পৃথক দুটি আইনে মামলা হয়। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/১২/১৩ ধারায় চার্জ গঠন করে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল। সেখানে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। অপর মামলায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৪/৬ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। দুটি হামলায় সামরিক-বেসামরিক লোকসহ মোট ২৪ জন আহত হন। এ ঘটনার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইপিজেড থানায় নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, ঈসা খাঁ ঘাঁটির সাবেক বলকিপার মো. আব্দুল হান্নান, মো. রমজান আলী ও মো. বাবুল রহমানকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে আব্দুল গাফ্ফারকে যুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাকিল করা হয়।