রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়রের পদত্যাগ দাবির পর এবার বাঘাইছড়ি পৌর মেয়রের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের পদত্যাগের দাবি ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের ব্যানার থেকে উঠলেও বাঘাইছড়ি পৌর মেয়রের পদত্যাগ দাবি তুলেছে খোদ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা কর্মসূচি থেকে পৌর মেয়রকে পদত্যাগ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সূচি বেঁধে দেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের মারিশ্যা বাজার চৌমুহনী শাপলা চত্বরের মুক্তমঞ্চে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলে উপজেলা বিএনপির নেতারা। সমাবেশে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, উপজেলা যুবদলের সহ–সাধারণ সম্পাদক আবু জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কফিল উদ্দিন, কৃষক দলের পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া, তাঁতীদলের নেতা নূর কবিরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের আগে শাপলা চত্বর থেকে ঝাড়ু নিয়ে একটি মিছিল শুরু হয়ে উপজেলা সদরের মারিশ্যা বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে সমাবেশে জড়ো হয়। সমাবেশে অভিযোগ করে বিএনপির নেতারা বলেন, ‘অবৈধভাবে ভোট চুরি করে বাঘাইছড়ির পৌরসভার মেয়র হয়েছেন জমির হোসেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার আর এই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। সে মেয়র হয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন বাঘাইছড়ি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিএনপির নেতাদের পদত্যাগ দাবির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জমির হোসেন আজাদীকে বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। যতদিন পর্যন্ত সরকার কোনো নির্বাহী আদেশ কিংবা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না জানায় ততদিন পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করে যাব। পৌরসভার কার্য়ক্রম চলমান রয়েছে। অফিস ভাঙচুরের পর পৌরসভায় বসে অফিস করায় পরিস্থিতি না থাকায় বাহিরে থেকেই আমি অফিস করছি। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান–সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’রা।