এবার বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডকে (এসআইবিএল) এস আলম গ্রুপের প্রভাবমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যাংকটির কয়েকজন শেয়ার–মালিক।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্লেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক এই দাবি তোলেন। এর আগে বেসরকারি খাতের আরেক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপকে বিতাড়িত করার দাবি ওঠে। এ নিয়ে গোলাগুলির মতো ঘটনাও ঘটে গেছে। খবর বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের আর্থিক খাতে সংস্কার ও পুনর্গঠনের জোর দাবি উঠেছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনও এসেছে। এর ধারবাহিকতায় এবার এসআইবিএলকে দখলমুক্ত করার দাবি এসেছে।
লিখিত বক্তব্যে এস আলম গ্রুপের ‘কবল থেকে দখলমুক্ত’ করে প্রকৃত মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তাদের কাছে এসআইবিএলের মালিকানা হস্তান্তরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান রাখা হয়েছে। রেজাউল হক অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে শরিয়্যাভিত্তিক এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ব্যাংকটি দখল করে এস আলম গ্রুপ। সেই থেকে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বোর্ড থেকে জোরপূর্বক ঋণ বিতরণ করলেও সেগুলো ব্যাংকে আর ফিরে আসেনি। তাতে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা। আর ব্যাংক থেকে যে টাকা বের হয়ে গেছে, তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবও ঘাটতিতে রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে এসআইবিএলের মালিকানা অস্ত্রের মুখে দখল করে নেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থনপুষ্ট এস আলম গ্রুপ।
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের চরমভাবে হেনস্তা করে এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নরের যোগসাজশে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয় বলে অভিযোগ করে রেজাউল হক বলেন, এরপর ব্যাংকটি লুটপাট করা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান, সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুর রহমান, আবুল বসর ভূঁইয়াসহ সাধারণ ও উদ্যোক্তা শেয়ার–মালিকারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে।