ঈদের বাকি আর অল্প কদিন। এবার ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা সাপ্তাহিক ছুটি যোগ করে টানা ছুটি পাচ্ছেন অন্তত ছয় দিন। তবে ঈদের আগে ও পরের যেকোনো এক দিন ছুটি দিলে টানা ছুটি মিলতে পারে আট অথবা নয় দিন। আর আগে পরে দুইদিন ছুটি পেলে টানা ১১ দিন ছুটি মিলবে সরকারি চাকরিজীবীদের। তবে ঈদুল ফিতরের পর ৩ এপ্রিল ছুটি দেওয়া যায় কিনা সেটি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
ঈদুল ফিতরের ছুটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে অফিস চলবে মাত্র দুদিন, ২৭ মার্চ ও ৩ এপ্রিল। ঈদের আগে ২৭ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করলে সরকারি কর্মচারীদের টানা ছুটি মিলবে আট দিন। অন্যদিকে ৩ এপ্রিলসহ ছুটি ঘোষণা হলে সাপ্তাহিক বন্ধসহ টানা ছুটি মিলবে ১১ দিন। দুই ক্ষেত্রেই ঈদের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ করে উল্লিখিত ছুটির চিত্র পাওয়া যায়। ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের দেশের রীতি অনুযায়ী ঈদের সময় শহরের মানুষেরা গ্রামে যেতে পছন্দ করেন। ছুটি কম থাকার কারণে যাওয়া–আসার পথে অনেক ঝক্কি–ঝামেলা পোহাতে হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সরকার ঈদুল ফিতরের নিয়মিত ছুটি তিন দিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ দিন করেছে। তারপরও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ছুটি বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারের আছে। এই ক্ষেত্রে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত লাগবে।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হলে উপদেষ্টা পরিষদে সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করতে হয়। পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ঈদের ছুটি সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ উত্থাপন হতে পারে। বৈঠকে নিয়মিত ছুটির বাইরে বাড়তি ছুটি অনুমোদন হলে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঈদের ছুটি ৩ দিন থেকে বাড়িয়ে ৫ দিন করেছে। ঈদ ছুটির আগে পরে সাপ্তাহিক ছুটির দিন মিলিয়ে সেটা ৬ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হতে পারে।