বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গোয়েন্দা পুলিশ ‘আটক করেছে’ বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তার ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, রাত ১২টার দিকে ১০/১৫ জন গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় প্রবেশ করে ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। তার সাথে আমাদের ভাগ্নে হাসনাত আশরাফ রবিনকেও নিয়ে গেছে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, শামসুজ্জামান দুদু ও রবিনকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তবে দুদুকে কোন মামলায় আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কোনো আনুষ্ঠানিক ভাষ্য জানা যায়নি। খবর বিডিনিউজের।
সাবেক এমপি দুদু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার আগে দীর্ঘদিন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন। এ নিয়ে বিএনপির তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান আটক হলেন।
বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরুর আগে শনিবার রাতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর শাহজাহান ওমরকেও গুলশানের এক বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বঙে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। একজন পুলিশ সদস্য এবং যুবদলের এক কর্মী নিহত হন। সংঘর্ষের পর নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে পরদিন হরতাল ডাকে বিএনপি। একদিন বিরতি দিয়ে তিন দিনের অবরোধ ডাকে দলটি।