আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আমাদেরও কর্মসূচি আছে। নতুন করে নয়, আগেই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জনতার ঢল নামবে। মহাযাত্রা শুরু হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানানোর পর সেখানে এক সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, মহাসমাবেশের মাধ্যমে তাঁদের আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে। এখন ওবায়দুল কাদেরও ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের মহাযাত্রা শুরুর কথা বললেন। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন। আর বায়তুল মোকাররম থেকে ঢাকায় নামবে জনতার ঢল। তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন। সেদিন ঢাকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ফখরুল সাহেবকে (ফখরুল ইসলাম আলমগীর) সেই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানাই। হিন্দু সমপ্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল অস্থিরতার ডাক দিয়েছে। তারা অবরোধ করার ঘোষণা দিচ্ছে। তাদের অবরোধ কেমন, তা আমরা ২০১৪ সালে দেখেছি, ২০০১ সালে দেখেছি। তিনি আরও বলেন, এদের (বিএনপি) প্রতিহত করতে হবে। তা না হলে তারা আবার ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। সে সময় তারা মন্দিরে হামলা, বাড়িতে, দোকানে লুটপাট করেছে। নির্যাতন করেছে। সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটুক, তা আমরা চাই না। তিনি বলেন, রাজনীতিকে অশুভ শক্তিমুক্ত করতে হবে। সমাজে যারা অন্যায় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের অসামপ্রদায়িক চেতনা, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব, অসাধারণ উন্নয়ন করেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তারা দুজনেই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সহসভাপতি তাপস কুমার পাল প্রমুখ।