ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মাহবুবুল আলমকে সংবর্ধনা দিল চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। গতকাল সকালে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির কো–চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি এস এম আবু তৈয়ব। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা এবং সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতায় আমরা মাত্র দুই বছরে এই ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করতে পেরেছি। অবশিষ্ট কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি চাই চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষ এই ক্যান্সার হাসপাতালের কাজে অংশ গ্রহণ করুক। প্রত্যেকের অতি ক্ষুদ্র দানকেও আমরা সাদরে গ্রহণ করব। তিনি নবনির্বাচিত এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং চট্টগ্রামের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ও নবনির্মিত ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবর্ধিত অতিথি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর গর্বের প্রতিষ্ঠান। তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই হাসপাতাল আজ একটি বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে। এটি সম্ভবত জনগনের অর্থায়নে এবং সম্পূর্ণ নাগরিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী হাসপাতাল। এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা বিভিন্ন ভাবে অবদান রেখেছেন প্রত্যেককের অবদান তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই হাসপাতালের উদ্যোগে এখানে একটি অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে, যা অবিশ্বাস্য। ক্যান্সার হাসপাতালের অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও ব্যাংক সমূহের সাথেও কথা বলবেন বলে জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একজন সন্তান হিসেবে এই হাসপাতালের জন্য কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। অতীতেও আমি আপনাদের সাথে ছিলাম,ভবিষ্যতেও আপনাদের সাথে থাকব ইনশা আল্লাহ।
বিশেষ অতিথি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, আমার বিশ্বসই হচ্ছে না এত অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতালটি চালু করতে পেরেছি। আমার মনে হয় নাগরিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই ক্যান্সার হাসপাতালটি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, সদস্য মোঃ হারুন ইউসুফ, এ এস এম জাফর, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক, প্রফেসর সিরাজুন নুর রোজী, প্রফেসর তাহেরা বেগম, প্রফেসর অলক নন্দী, উপ–পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ–পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডাঃ এ কে এম আশরাফুল করিম, উপ–পরিচালক (প্রশাসন, আইসিএইচ) ডাঃ মোঃ আবু সৈয়দ চৌধুরী, ডাঃ শামসুন নাহার বিনতে মান্নান, অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেফাতুজ্জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জনাব মাহবুবুল আলম এর পরিবারের পক্ষ থেকে উনার ছোট ভাই মোঃ মোরশেদ উল আলম, মোঃ শাহেদ উল আলম, মোঃ মাহমুদুল আলম ও মোঃ জাবেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, জনাব মাহবুবুল আলম এর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। ক্যান্সার হাসপাতালের ৩য় তলার ফ্লোরটি উনার মায়ের নামে “আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশন” এর নামে নামকরণ করা হয়। তিনি প্রধান অতিথি ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্যান্সার হাসপাতালের উক্ত ফ্লোরটি পরিদর্শন করেন এবং ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন।