এত কষ্ট কার কাছে রাখব

নাসিম আখতার রীনা | শুক্রবার , ২৭ জুন, ২০২৫ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

দাদাভাইয়ের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারোনি তুমি, কষ্টটা শেয়ার করতে ছুটে এলে, সব বোনকে জড়ো করলে। দাদাভাই এর মিলন মেলার স্বপ্ন পূরণ করবে। আমি ছবি দিয়ে বই ছাপানোর কথা শুনে ড্রোনে ছবি তুলে পাঠালে। কী মর্মন্তিক! ছোট ভাই প্রবাস থেকেও বহু দূরে তুমি চলে গেলে না ফেরার দেশে! এত কষ্ট কার কাছে রাখব বলতে পারবে? আমার বই কি আর ছাপাতে হবে? চোখে জলে কষ্ট তো মুছে না। তোমাকে হারানোর ব্যথা অব্যক্ত থেকে যাবে, হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে যাবে, না কাঁদবো না। তুমি আসবে স্বপ্নের হাত ধরে দোতালার ঘরে। তুমি যেত পারনা এত অল্প বয়সে। আজ তুমি পত্রিকার শিরোনাম হলে: ‘মেলবোর্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের প্রকৌশলীর মৃত্যু’।

এভাবে এসেছে পেপারে : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সড়ক দুর্ঘটনায় ড. আনিসুল করিম সোহেল নামের এক বাংলাদেশি প্রবাসী প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। ২০ জুন স্থানীয় সময় সকালে মেলবোর্ন শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আনিসুল করিম চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাফত নগর ইউনিয়নের ওয়াইজ তালুকদার বাড়ির প্রয়াত এ এইচ এম জিয়াউল করিমের ছেলে। জানা যায়, . আনিসুল করিম সোহেল বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় একটি দোকানে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ড. সোহেল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করার পর আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে (আইআইইউসি) শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে তিনি পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল সরকারের অধীনে ডেটা সায়েন্স বিভাগের টিম লিড ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরথযাত্রা ও আত্ম অহংকারের বিসর্জন
পরবর্তী নিবন্ধমধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?