চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় রশি টেনে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতিসহ মোটরসাইকেলে আরোহীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তন্মধ্যে গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার। তিনি বলেন, মামলার পর গ্রেপ্তার হুমায়ুন আজ (গতকাল রবিবার) সকালে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনোয়ারুল কবিরের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তার হুমায়ুন কবির বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে। অপর দুই এজাহারনামীয় আসামি হলো, লামার ইয়াংছার হিমছড়ি এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ফরিদুল আলম ও ছৈয়দুল আলমের ছেলে হামিদ হোছাইন।
ঘটনায় নিহত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুখালী এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী জাতীয় উদ্যান এলাকায় ডাকাতের হামলায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ উখিয়ার তিনজন ও ঈদগাঁওয়ের একজনসহ চার বন্ধু মিলে দুটি মোটরসাইকেলে চেপে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ায় ডাকাতদলের কবলে পড়েন তারা। এ সময় লুট করে নেওয়া হয় দুটি মোটরসাইকেলসহ সর্বস্ব। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের মধ্যে মাহমুদুল্লাহ নিহত হন। এ সময় আহত অপর দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর এজাহারনামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া দুটি মোটরসাইকেলও। মূল আসামি হুমায়ুন ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।