জেলা প্রশাসনের চেয়ার অনেক সেনসিটিভ চেয়ার। অনেক কাজ করার পরও আমাদের স্টেক হোল্ডাররা খুশি হন না। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। চট্টগ্রাম অনেক সেনসিটিভ জেলা, প্রধান উপদেষ্টার জেলা। এখানে চ্যালেঞ্জগুলো ছিল সুনামির মত। এরপরও আমরা সবাই মিলে সামাল দিয়েছি। আমার এডিসি, এসিরা যদি সামাল না দিতো আমি অসুস্থ হয়ে যেতাম। আমার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সাথে আমাকে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। মনের অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে ভুলে যাবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নিজের বদলি জনিত বিদায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রশাসনের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের একটা কথা বলেছি। আপনারা আমাকে কখনও স্যার মনে করবেন না। আমি আপনাদের বড় বোন। যে কোনো সমস্যা নির্দ্বিধায় বলতে পারবেন। সেটাই হয়েছে আমার সাথে। সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীর সহযোগিতা নিয়ে আমি কাজ করে গেছি। বড় বড় সমস্যার মোকাবেলা করেছি এবং সমাধানও করেছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। তিনি বলেছেন, দেশের ভাইরাল একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে ছিলেন ফরিদা খানম। বিশেষ করে রমজান মাস এবং আরও কিছু কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পেরেছেন। অন্য জেলা প্রশাসকদের ফরিদা হয়ে উঠতে বলা হলেও তা পারবে না। চট্টগ্রাম জেলার সামগ্রিক কর্মাকাণ্ডে লিডারশিপের পরিপূর্ণ কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করেছেন। এজন্য জেলা প্রশাসন সার্থক ও সফল। তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। ৫ আগস্ট পরবর্তী জেলা প্রশাসনের ভঙ্গুর অবস্থা থেকে পুনরায় কর্মচঞ্চলতায় ফিরিয়ে আনা সহজ কথা নয়। সেটা ফরিদা করে দেখিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যার একটা স্বপ্ন আছে, যার ইচ্ছা শক্তি আছে, তিনি আসলে এমন ব্যতিক্রমী কাজ করতে পারেন। এ স্বপ্ন দেখা শক্তিটায় জীবনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি ফরিদার জন্য দোয়া করছি। তিনি অনেক বড় জায়গায় যাবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুসরাত সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরীফ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মো. সাইদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।