এখনো আটক হয়নি কেউ

হালিশহর-পাহাড়তলীতে খুনের ঘটনা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর হালিশহর ও পাহাড়তলী এলাকায় সংঘটিত দুটি খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, তারা ঘটনার কারণ মোটামুটি ভাবে আঁচ করতে পেরেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি জানানো হবে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় হালিশহর ও পাহাড়তলী থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন খুনের শিকার দুই ব্যক্তির স্বজনরা।
নগরীর হালিশহর এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান লিটন (৫০)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকার এ-ব্লকে আর্টিলারি সেন্টার মাঠের পাশে খালপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিজানুর রহমান লিটন হালিশহর থানার রহমানবাগ আবাসিক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এম এ লতিফের ছেলে। হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আজাদীকে জানান, এম এ লতিফের সাত ছেলের মধ্যে মিজানুর রহমান লিটন সবার বড়। তিনি আগে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করলেও সর্বশেষ জমি বিক্রির মধ্যস্থতা করতেন। হালিশহর আবাসিক এলাকার বি-ব্লকে পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। বুধবার রাত ১টার দিকে আমরা খবর পাই যে, এ-ব্লকের খালপাড়ে একটি লাশ পড়ে আছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে।
ধারণা করছি, রাতেই খুন করে লাশ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে। কিংবা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েও এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ দুই দিক বিবেচনা করে আমরা তদন্ত করছি। অন্যদিকে নিখোঁজের একদিন পর নগরীর অলংকার এলাকা থেকে বিজয় কুমার বিশ্বাস (৩২) নামে এক বিকাশ এজেন্টের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার আলিফ হোটেল সংলগ্ন গলি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। নিহত বিজয় কুমার বিশ্বাস ইপিজেড নেভী কলোনীর সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের ছেলে। নগরীর বন্দরটিলা এলাকায় ‘মেডি হাসপাতাল’ গেইটে বিকাশের দোকান করত। আট মাস আগে তার বিয়ে হয়। পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, বিজয় কুমার বুধবার সকালে নেভি কলোনীর বাসা থেকে দোকানের উদ্দেশে বের হন। কিন্তু সারাদিন দোকান বন্ধ ছিল। মোবাইলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া না গেলে স্বজনরা পাহাড়তলী থানায় বিকেলে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, তার ব্যাগে সব সময় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা থাকত। টাকার লোভে পূর্বপরিচিত কেউ তাকে হত্যা করেছে।
হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, ভিকটিম মিজানুর রহমানের পরিবারের কথা অনুযায়ী ভাইয়ের বাসা থেকে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে মিজানুরকে খুন করা হয়েছে। তার ভাই মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় একটি মামলা করেছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। আমরা প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি, হত্যার কারণ প্রসঙ্গে। তবে আসামিদের ধরার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
পাহাড়তলী থানার ওসি মাঈনুর রহমান বলেন, বিজয় কুমার বিশ্বাস খুনের ঘটনায় তার ভাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলাটির তদন্ত চলছে। আশা করছি অচিরেই আপনাদের একটা ভালো সংবাদ দিতে পারব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারি দামে আলু মিলছে না এখনো
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে ছেলে