নগরীতে চলাচলরত সিএনজি টেক্সিকে যাত্রী সাধারণের জন্য নিরাপদ বাহন হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ কার্যক্রমে গত এক সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার টেক্সি চালকের নিবন্ধন সমাপ্ত হয়েছে। কিছুটা ধীর গতিতে এ কার্যক্রম চলার কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে, চালকদের মধ্যে প্রথম দিকে নিবন্ধন করার আগ্রহ কম ছিল। তবে গত তিন দিন ধরে সাড়া মিলছে। নগরীর আটটি স্থানে নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। এদিকে এক সপ্তাহে সর্বাধিক নিবন্ধনকারী হিসেবে সিএমপির পশ্চিম জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিপ্লব কুমার পাল এবং ট্রাফিক উত্তর বিভাগের টিআই প্রবর্তক মনজুর হোসেনকে পুরস্কৃত করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ।
টিআই বিপ্লব কুমার পাল আজাদীকে জানান, ট্রাফিক বিভাগের চারটি জোনের মধ্যে যারা প্রথম পাঁচশ সিএনজি টেক্সির নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলে পুলিশ কমিশনার স্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ আজ (রোববার) পর্যন্ত ৬৪৯টি সিএনজি টেঙির নিবন্ধন সম্পন্ন করেছি। সব মিলে এখন পর্যন্ত নগরীর সাড়ে তিন হাজার টেঙির নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই উদ্যোগের আওতায় নগরীতে চলাচলরত বৈধ কাগজ সম্বলিত সকল সিএনজিচালিত টেঙির মালিক ও চালকদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ভেরিফায়েড করা হবে। তাদের সকল তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা কিউআর কোড এবং নিউম্যারিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে যাত্রীরা এই আইডি অথবা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে চালক ও মালিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন। প্রতিটি গাড়িতে সিএমপির দেয়া কিউআর কোড সম্বলিত কার্ড ঝুলানো থাকবে। যেকোনো যাত্রী গাড়িতে যাত্রার আগে যদি প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন গাড়িটি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফায়েড।
সিএমপির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই উদ্যোগের ফলে কোনো সিএনজি চালক অপরাধ করলে কিংবা কোনো যাত্রী টেঙিতে জিনিসপত্র রেখে নেমে গেলে তাদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
বদলি চালকের ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে টিআই বিপ্লব জানান, গাড়ির মালিক একজন, কিন্তু চালক হয়ত তিনজন রয়েছে। চালক তিনজনেরই নিবন্ধন করতে হবে এবং যখন যে গাড়ি চালাবে, তার কার্ডটি টেঙিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।