বিশ্ব ক্যান্সার দিবসেই চট্টগ্রামে বহুল প্রত্যাশার ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার যাত্রা শুরু হলো। বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল স্থাপিতহলো ক্যান্সার হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জনগণের টাকায় জনগণের জন্য প্রতিষ্ঠাতব্য এই হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরই মাধ্যমে সূচনা হলো এক মহৎ উদ্যোগের। প্রায় ১২০ কোটি টাকার বিশ্বমানের এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য মন্ত্রী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবিএল) ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করেন। এই হাসপাতালের জন্য দৈনিক আজাদী পরিবারের পক্ষ থেকেও দেয়া হয় এক কোটি টাকার অনুদান। গতকাল ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বহু দানশীল মানুষ হাসপাতালের জন্য অর্থ প্রদান করেছেন। চট্টগ্রামের বহু মানুষের অংশগ্রহণে ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার এই কার্যক্রম সফল হবেই বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, টাকার জন্য এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম আটকে থাকবে না। এই হাসপাতাল ইনশা আল্লাহ হবেই।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের একটি প্রকল্প হিসাবে এই ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হাসপাতালটি চট্টগ্রামে ক্যান্সার চিকিৎসার দৈন্য দশা ঘোচানোর পাশাপাশি বিশ্বের একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও যাতে আত্মপ্রকাশ করে সেদিকে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী জাবেদ আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের এই ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অবশ্যই সফল হবে এবং এটি একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। এই ক্যান্সার হাসপাতালটি চালু হলে চট্টগ্রামের রোগীদের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আর বাইরে যেতে হবে না। দেশের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সদ্য প্রাক্তন লায়ন্স গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক, হাসপাতালের অন্যতম দাতা সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, মহামারী করোনাকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যে অবদান রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। চট্টগ্রামবাসী আজীবন আপনাদের এই অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে। করোনাকালে অনেকেই দায়িত্ব পালন না করে বা চিকিৎসা সেবা না দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আপনারা সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এই মহা সংকটকালীন মানুষের পাশে ছিলেন, চট্টগ্রামবাসীর পাশে ছিলেন।
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আমি সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে আজকের এই সভায় করোনাকালীন ভূমিকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল (ইউসিবিএল) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য পাঁচ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করে মন্ত্রী জাবেদ বলেন, আমি আপনাদের সাথে অতীতেও ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন আমি ইউসিবিএল -এর পক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছি। প্রয়োজনে আরো দেবো। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও টাকা এনে দেবো। প্রসঙ্গক্রমে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক বলেও উল্লেখ করেন। তিনি গত বারো বছরের সরকারের সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আমরা বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেক। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বেশি। আমাদের মাথা পিছু আয় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বেড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে সোনার বাংলা নয়, হীরের বাংলায় পরিণত করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
করোনা মহামারীর ভয়াল সময়েও প্রতিদিন অফিস করেছেন বলে উল্লেখ করে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, অনেকেই বলেছে ঘর থেকে বের না হতে। অফিসে না যেতে। অনেক মন্ত্রী বলেছেন, আরে ভাই আপনি কি করছেন? আমরা সবাই বাসায় আছি, আপনি কেন বাসা থেকে বের হচ্ছেন? এরপরও আমি কারও কথা শুনিনি। মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন অফিস করেছি।
সরকার করোনা মোকাবেলায় অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে। রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার আশংকা করা হলেও আল্লাহর রহমতে একজন মানুষকেও রাস্তায় পড়ে মরতে হয়নি। তিনি বলেন, ক্যান্সার এমন একটি রোগ-কী কারণে হয়, কোথা থেকে হয় – তা বলা মুশকিল। ক্যান্সার আল্লাহর প্রদত্ত একটি রোগ। এটি এমন একটি রোগ, আপনার যদি হায়াত থাকে তাহলে বাঁচবেন। অন্যথায় বাঁচা সম্ভব না।
তিনি বলেন, অনেকে বলছেন শুটকি খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমি যেহেতু চট্টগ্রামের, তাই চট্টগ্রামের ভাষায় বলি- ‘হুনি ছাড়া চলিন ন পাইরগুম। হুনি এক্কানা খা পরিবু। (শুটকি ছাড়া চলতে পারব না। শুটকি একটু খেতে হবে।) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও শুটকি পছন্দ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে লাঞ্চের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে নেভির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীসহ লাঞ্চ করেছিলাম। কয়েকজন মন্ত্রী ছিলেন, সেখানে আমিও ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ওই সময় শুটকি দিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। আমাকে বললেন, ‘জাবেদ আমার জন্য শুটকি আছে, তোমার জন্য নাই…ই। তাই শুটকি আমি খাবো। তিনি আবার পরে বলেছেন, জাবেদকে শুটকি দাও। কারণ প্রধানমন্ত্রী জানেন আমি চট্টগ্রামের সন্তান, স্বাভাবিকভাবে শুটকি পছন্দ করবো।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ফরমালিনযুক্ত খাবার খাই। আমি জানি না এটাকে কেন ফরমালিন বলে। এটি আসলে প্রিজারভেটিভ। বিদেশে এটিকে প্রিজারভেটিভ হিসেবে দেখে। এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত দেয়া বা খাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বেও খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিজারভেটিভ দেয়। তবে আমাদের দেশে পরিমাণটা একটু বেশি দিয়ে ফেলে। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, করোনাকালে এটি আমাদের কাজ দিয়েছে। আমরা লাভবান হয়েছি। না হলে আর কোনো কারণ খুঁজে পাই না। গ্রামে-গঞ্জে মানুষ মাস্কও পরে না। এরপরও করোনা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে এক কোটি টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, কোনো ভাল কাজের উদ্যোগ কখনো বিফলে যায় না। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের এই ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়নের উদ্যোগও বিফলে যাবে না। অবশ্যই সফল হবে। তিনি চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষকে এই মহৎ কাজে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এক টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যন্ত অনুদান নেবো। কেউ চাইলে এক টাকাও দিতে পারেন। পাঁচ টাকা দশ টাকা একশ’ টাকা দিতে পারেন। আমরা মানুষের জন্য এই হাসপাতাল, মানুষের অর্থায়নে করতে চাই। মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে চাই। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় এই উদ্যোগ অবশ্যই সফল হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এম এ মালেক ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য অর্থ সংগ্রহের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমরা চলে যাবো। শুধু আমাদের কাজই পড়ে থাকবে। এই কাজই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের আরো বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের ষাট লাখ মানুষ যদি একশ’ টাকা করেও দেন তাহলে ৬০ কোটি টাকা হয়ে যায়। এক টাকা করে দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে ৬০ লাখ টাকা হয়। আমরা এক টাকাও নেবো।
এক কোটি টাকা অনুদান প্রদান প্রসঙ্গে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, এ হাসপাতালের জন্য দেশে-বিদেশে মানুষ আমার হাতে বহু টাকা দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। তাই মনে হলো আমারও শরিক হওয়া দরকার। আপনাদের সবার সাথে শরিক হওয়ার জন্যই আজাদী পরিবারের এই প্রয়াস বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হাতে এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তরকালে সদ্য প্রাক্তন লায়ন গভর্নর মিসেস কামরুন মালেক, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, নির্বাহী সম্পাদক পারিহা মালেক, নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট এস এম আবু তৈয়ব ১০ লাখ টাকা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী শফিক আহমেদ ৫ লাখ টাকা, এনআরবি গ্ল্যোবাল ইসলামী ব্যাংকের নাসিরাবাদ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এম নাসির উদ্দিন ১ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের পরিচালক মিসেস শায়লা আবেদীন ১ লাখ টাকা, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর ১ লাখ টাকা, বাংলাদেশ আনসার চট্টগ্রাম জোনের পরিচালক আজিম উদ্দিন ১ লাখ টাকা, হাসপাতালের আজীবন সদস্য কবির আহমেদ ৫০ হাজার টাকা, আজীবন সদস্য আদিল হাসনাত ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ আঞ্জুমান আরা ইসলাম, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ মোঃ আরিফুল আমীন, ট্রেজারার ও ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি মোঃ রেজাউল করিম আজাদ, হাসপাতালের প্ল্যান ডেভেলপমেন্ট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান ও অনারারি প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব, নগর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলতাফ হোসেন বাচ্চু, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, চমাশিহা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ নূরুল হক ও হাসপাতালের অনকোলজি ও রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেফাতুজ্জাহান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির ডোনার সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাবেদ আবছার চৌধুরী, মোঃ শহীদউল্লাহ, সৈয়দ মোহাম্মদ আজিজ নাজিম উদ্দিন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর, মিসেস রেখা আলম চৌধুরী, অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, মোঃ আহছান উল্যাহ, এস এম কুতুব উদ্দিন, মোঃ জাহিদুল হাসান, লায়ন মোঃ হারুন ইউছুপ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, মোরশেদ আলী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, ডবলমুরিং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন। এর আগে ক্যান্সার বিষয়ে একটি সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনকোলজি ও রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শেফাতুজ্জাহান। অনুষ্ঠানে ক্যান্সার সারভাইভাল রোগীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ফাহিম হাসান রেজা ও শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ইন্দিরা চৌধুরী।