এক ঘণ্টার প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন কলেজছাত্রী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নূর ইশরাত জাহান। এক ঘণ্টার জন্য দায়িত্ব নিয়েই খাগড়াছড়ি জেলাকে নারীবান্ধব করার পাশাপাশি নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরেন তিনি। গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলের কাছ থেকে ব্যতিক্রমী এক আয়োজনে প্রতীকীভাবে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নূর ইশরাত জাহান। এ সময় এক ঘণ্টার প্রতীকী এসপি কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল।

অক্টোবরে কন্যা শিশু দিবসের মাস উপলক্ষে প্ল্যানইন্টারন্যাশনাল এর ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সহযোগিতায় নারী নেতৃত্ব উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূিচর আওতায় এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার নূর ইসরাত তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরে কন্যা শিশুদের সমান সুযোগ এবং সমানাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, বাল্য বিয়ে রোধসহ করণীয় বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন , খাগড়াছড়ি জেলায় প্রতিমাসে গড়ে ৩৫টি করে ধর্ষণের মামলা করা হচ্ছে। নারী নির্যাতনের মামলা হচ্ছে। আর যেন কোন নারীকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিবন্ধকতা ও কঠিন বাস্তবতার সাথে মুখোমুখি হতে না হয় সেজন্য করণীয় তুলে ধরে এক ঘন্টার প্রতীকী পুলিশ।

এনসিটিএফের জেলা সাবেক সভাপতি শচীন দাশ ও সহসভাপতি জান্নাতুল মাওয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো প্রতীকী পুলিশ সুপার তুলে ধরেছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক এবং যৌক্তিক। নারীরা ধর্ষণ,ইভটিজিং এবং বাল্য বিয়েসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম,খাগড়াছড়ি শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী,সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুল বাতেনমৃধা, জেলা ভলান্টিয়ার খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাকসহ জেলা এনসিটিএফের ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ২০১২ সাল থেকে দিবসটি গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করে আসছে। কন্যা শিশুরা সমান সুযোগ এবং সমানঅধিকার পেলে বদলে দিতে পারে তাদের জীবন, তাদের আশপাশের সমাজ। মূলত: এই বিশ্বাস থেকেই গার্লস টেকওভার এই কর্মসূচি আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে আজ ও কাল ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধ৪ হাজার মিটার ডিস ও ওয়াইফাই লাইন কেটে দিল দুর্বৃত্তরা