এক আসামির ডাবল যাবজ্জীবন, অপরজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

পতেঙ্গায় শিশু অপহরণ মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ, ২০২৫ at ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পতেঙ্গার খেজুরতলা রোড এলাকায় ৪ বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় মো. সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ডাবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে কমলা বেগম নামের এক নারীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন ব্যক্তি খালাস পেয়েছেন। তারা হলেন, মো. বশির, আনোয়ারা বেগম ও জাকির হোসেন। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৭ এর বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সাখাওয়াত ও কমলা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি শফিউল মোর্শেদ চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কপিল উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির একটি মামলায় এ রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক। রায়ে দুজনের দণ্ড হয়েছে। এরমধ্যে আসামি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লক্ষ অর্থদণ্ড দণ্ড ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৮ ধারায়ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড, এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায় এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তার উভয় সাজা একত্রে চলবে। অপর আসামি কমলা বেগমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রায়ে মো. বশির, আনোয়ারা বেগম ও মো. জাকির হোসেন নামের তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন পতেঙ্গার খেজুরতল রোড এলাকায় শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা মো. সোহেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সাখাওয়াত ঘটনার এক বছর আগে সবজি বিক্রেতা সোহেলের বাসায় সাবলেট থাকতেন। ভাড়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তাই সাখাওয়াতকে বাসা ছাড়তে বলা হয়। সেই অনুসযায়ী তিনি বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ঘটনার দিন হঠাৎ সাখাওয়াত বাসায় আসেন এবং ইফতার করেন। একপর্যায়ে দেখা যায়, সোহেলের চার বছর বয়সী শিশু বাসায় নেই। খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি, সাখাওয়াত শিশুকে অপহরণ করেছে। একই দিন রাতের দিকে সাখাওয়াত ফোন করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলেও এজাহারে বলা হয়। ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালনাগাদে চট্টগ্রামে ৩ লাখ ৩ হাজার নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ
পরবর্তী নিবন্ধনোংরা পানি দিয়ে বানানো সেমাইয়ে তেলাপোকা মাছি