এক অনন্য লেখক আড্ডা

গৌতম কানুনগো | মঙ্গলবার , ৪ জুন, ২০২৪ at ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

পত্রিকাকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। পত্রিকা আধুনিক জীবনের অন্যতম গণমাধ্যম। পত্রিকা ব্যতীত বর্তমান আধুনিক জীবন কল্পনাই করা যায় না। শিল্প সাহিত্য অর্থনীতি সমাজ ভাবনা মূলক পত্রিকার নাম শিল্পশৈলী। গত ৩১মে চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রকাশনী সংস্থা শৈলী থেকে প্রকাশিত নেছার আহমদ সম্পাদিত শিল্পশৈলীর উদ্যোগে এক জমজমাট লেখক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী খ্যাতিমান ছড়াশিল্প, কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত।

অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। তিনি বলেন, অজয় দাকে চট্টগ্রামে পাওয়ার সাথে সাথে এ আড্ডার আয়োজন করি। শিল্পশৈলী এ পর্যন্ত দুবার প্রবন্ধ গবেষণায় পুরস্কার দিয়েছে। এ বছরও এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। শিল্পশৈলী সম্পাদক নেছার আহমদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর। আলোচনায় অংশ নেন ইলানিং বিশেষজ্ঞ ডঃ বদরুল হুদা খান, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, লেখক এস. এম. আবদুল আজিজ, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক নাসের রহমান, কবি অমিত বড়ুয়া, কবি জাহাঙ্গীর আজাদ, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, কবি রূপক কুমার রক্ষিত, কলামিস্ট রেজাউল করিম স্বপন, সংগঠক জাহাঙ্গীর মিয়া, ডঃ আজাদ বুলবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান লেখক মহসিন চৌধুরী। কথামালা ও কবিতায় অংশ নেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক পিংকু দাশ, অনন্যধারা সম্পাদক গল্পকার রুনা তাসমিনা, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক বিচিত্রা সেন, কবি মর্জিনা আখতার, কথাসাহিত্যিক মিলন বণিক, কবি তানজিনা রাহী, প্রাবন্ধিক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, কবি স্মরণিকা চৌধুরী, কবি নান্টু বড়ুয়া, কবি লিটন কুমার চৌধুরী, কবি সাইফুল্লা কায়সার ও কবি সংযুক্তা চৌধুরী। লেখকের লেখা থেকে আবৃত্তি করেন সৌভিক চৌধুরী, প্রতিমা দাশ, শিপ্রা দাশ এবং সুচিত্রা ভট্টাচার্য্য। গান পরিবেশন করেন শিউলী নাথ, তারিফা হায়দার ও কেশব জিপসী। শিল্পী কেশব জিপসী “মেঘ বলেছে যাবো যাবো”চমৎকারভাবে পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অজয় দাশগুপ্ত প্রায় ১৫ মিনিটের বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক নিদের্শনা দিয়েছেন, যেমন – “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি”এ গানের কথা কোনদিন পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, অনুপ্রেরণা দিতে হবে এবং অনুপ্রেরণা নিতে হবে। তিনি সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন। শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, অন্নদাশংকর রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁদেরকে নিয়েও কথা বলেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপস্থিত শ্রোতারা তাঁর বক্তব্য শুনছিলেন। এ সময় পুরো মিলনায়তন জুড়ে ছিল সুনসান নীরবতা। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক এস. এম. মোখলেছুর রহমান। মোটকথা, এক অনন্য আড্ডা আমরা উপভোগ করেছি। শিল্পশৈলী আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিটিক্লক টাওয়ার চাই
পরবর্তী নিবন্ধনিজের প্রতি ভালোবাসা