৭১ কেমন ছিল তা আমি জানি না, ৯০ কেমন ছিল তাও জানি না শুধু শুনেছি মাত্র কিন্তু আমি ২৪ দেখেছি সেই দিনগুলো আমার মনে আজও উজ্জ্বল পাক হানাদারের ঠকঠক থেকে ২৪ এর ‘বাইরে আয় ‘আমরা কি সত্যিই স্বাধীন’? কিন্তু জুলাই এনেছে আমাদের এক নতুন উদ্যম। তরুণরা তো আমাদের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে সেটাই বা কম কী! আজ বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ নিজের কথা অকপটে প্রকাশ করতে পারছে।তরুণরা যেন ‘হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের’ গানের লাইনের মত জানান দেয় ‘পথে এবার নামো সাথী পথেই হবে যে পথ চেনা’। বাঙালি নেমেছে জয় করেছে লেগেছে ৫৪ বছর তাতে কী হয়েছে। এ বাংলার মাটি আমার আপনার আমাদের সবার। এ বাংলার মাটির এক ইঞ্চিও আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। বিশ্ববাসীকে আজ সকাতরে বলতে চাই আমরা এক সবাই এক। হোক না আমার পাশের ভাই বোনটি হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান কিন্তু সার্বভৌমত্বের দিকে আমরা সবাই এক যা আমাদের এত বছরের ঐতিহ্য। স্বাধীনতা যদি আপেক্ষিকই হয় তাহলে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন দেখেছেন তরুণরাও কোথাও গিয়ে তাদের স্পিরিটকে বুকে নিয়ে জুলাই এর ইতিহাস রচনা করেছে। কী অদ্ভুত আজ যখন আমাদের একাত্তরের দিনগুলি মনে পড়ে তখন ঘটে যাওয়া পাকিস্তানিদের বর্বরতার প্রতীক যেন জুলাই এ ঘটে যাওয়া ছাত্র–জনতার ওপর স্বৈরাচারের নির্যাতনেরই রূপ। ফারাকটা আসলে কোথায়? যদি বাংলার মাটি আজ মহাভারতের কুরুক্ষেত্র হয় তবে কে অর্জুন আর কে বিভীষণ তা বলা সত্যিই খুব মুশকিল। এই জাতি হারে না হার মানে না। ইতিহাসের কী অদ্ভুত সমীকরণ আজ যদি শ্রদ্ধাভরে একাত্তরের বীরদের স্মরণ করি অজান্তেই চব্বিশের শহীদরাও চোখের সামনে ভেসে ওঠে আজ যেন কোথাও গিয়ে ৭১, ৯০ এবং ২৪ এক হয়ে সরল রেখায় পরিণত হয়েছে ৭১–২৪ থেকে কত কান্না, কষ্ট, শোষণ নিপীড়নের মধ্যে এই জাতি গেছে কিন্তু আর না তরুণ তুর্কিরা আজ সচেতন জুলাই যদি আমাদের দগদগে ঘা হয়ে থাকে একাত্তর আমাদের অস্তিত্ব। এই নতুন বাংলায় হবে সকল বীরের আত্মগাথার সমান মর্যাদা।