অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নতুন ব্রিজ– নিউ মার্কেট রুটে চলাচলকারী প্রায় ৩শ অটোটেম্পো। চালকসহ ৬জনের রুট পারমিট থাকলেও ১১জন নিয়ে চলে টেম্পোগুলো। আবার রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে নির্ধারিত দূরত্বে চলে না টেম্পোগুলো। আবার একশ গাড়ির পারমিট থাকলেও চলে তিনশ এর কাছাকাছি। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে এসব টেম্পো। নতুন ব্রিজ এলাকায় অনেকটা জঞ্জাল তৈরি করে রাখা টেম্পোগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয় না।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘নতুন ব্রিজ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত একশ এর মতো অটোটেম্পোর রুট পারমিট রয়েছে। কিন্তু গাড়িগুলো কখনো টাইগারপাস পর্যন্ত যায় না। নিউ মার্কেট পর্যন্ত গিয়ে পুরো ভাড়া নিয়ে নেয়। পুলিশকে মাসোহারার মাধ্যমে চলে আড়াইশ থেকে তিনশ অটোটেম্পো। নতুন ব্রিজ মোড়ে দায়িত্বে থাকা টিআই এর (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) ইন্ধনে এসব টেম্পো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘নিউ মার্কেট এলাকায় জিপিও’র মোড়ে সমিতির নামে আগে প্রতিদিন ১৬০ টাকা করে নেওয়া হতো। এখন ১৬০ টাকা করে না নিলেও প্রত্যেক টেম্পো থেকে প্রতি ট্রিপে ২০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়। এতে প্রত্যেকটি টেম্পো ১০টি ট্রিপ চলাচল করলে ২০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। আবার নতুন ব্রিজে লাইনম্যানের চাঁদা হিসেবে প্রতিদিন ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। মান্থলি হিসেবে গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।’ স্থানীয় আরেক শ্রমিক নেতা বলেন, ‘নতুন ব্রিজে চলাচলকারী টম্পোগুলোতে রুট পারমিট রয়েছে চালকসহ ৬ জনের। কিন্তু গাড়িগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে ১১ জন বহন করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না। পুলিশকে ম্যানেজ করে রুটটি নিয়ন্ত্রণ করেন শ্রমিক নেতা জানে আলম ও জাহেদ। টেম্পোগুলোতে নতুন ব্রিজ থেকে টাইগার পাস পর্য়ন্ত বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া ১০টাকা। নিউ মার্কেট পর্যন্ত ৮ টাকা হলেও উঠানামা হিসেবে ১০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুটটি নিয়ন্ত্রণকারী শ্রমিক নেতা জানে আলমের একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।