তিস্তা সেচ প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে এক লাখের বেশি হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। ফলে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বাড়বে। একইসঙ্গে অন্যান্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়বে ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি, যার বর্তমান বাজার মূল্য এক হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি ৮৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি নীলফামারী জেলার সদর, সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ, ডিমলা ও জলঢাকা, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা ও চিরিবন্দর এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া, সদর, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জে বাস্তবায়িত হবে। খবর বাংলানিউজের।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সম্পন্ন হয়েছে। ফলে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আর কোনো বাধা নেই। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল একনেক সভায় উপস্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনের আগে যে সব মিটিং করার কথা তা সম্পন্ন হয়েছে। এটি একনেক সভায় অনুমোদন পেতে আর বাধা নেই।