একটি গাছ, একটি প্রাণ, একটি সুন্দর পৃথিবী

রিজিয়া সুলতানা রিসপা

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস! প্রখর রোদ, নেই বৃষ্টি। তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকেরও বেড়েছে প্রবণতা। পরিবেশের উপর করা এক সময়ের বিরূপ আচরণের প্রভাব আমাদের ফিরে পেতে হচ্ছে। বাড়ছে তাপমাত্রা, বাড়ছে গরমের পরিমাণ। যেখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো সবুজায়ন ধ্বংস করা। আমাদের সবুজ শ্যামলে ঢাকা দেশটা আর আগের মতো নেই। এক সময় আমাদের ২৫ ভাগের বেশি সবুজায়ন থাকলেও এখন তার পরিমান কমেছে অনেক। গাছপালা অঙিজেন সরবরাহ করে এবং কার্বনডাইঅঙাইড ও তাপ শোষণ করে। ফলে বাতাসে অঙিজেন ছড়িয়ে আশপাশের এলাকা শীতল রাখে। কিন্তু বন উজাড় করায় বৃক্ষ কমে গিয়ে এখন অঙিজেন, জলীয়বাষ্প কমে গিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। অন্য দিকে একই কারণে বৃষ্টিপাতও কমে গিয়েছে। বৃক্ষের অভাবে উর্বর উৎপাদনশীল মাটি ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয়। মাটির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য দরকার বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাত ঘটাতে আবশ্যক গাছপালা। বেপরোয়া ভাবে গাছ কাটার জন্য ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি, কমে যাচ্ছে পাখিদের আশ্রয়স্থল, কমে যাচ্ছে জীব বৈচিত্র্য, আগের মতো ফলমূল যেমন (আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ডাব, বেল ইত্যাদি) গাছ আর নেই, বাড়ছে ভূমিক্ষয় বন্যা ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশুদ্ধ বাতাসের অভাবে শরীরে বাসা বাধছে নানান রোগ। এ সকল কিছুর শ্রেষ্ঠ সমাধান গাছ লাগানো। গাছ পারে এই সকল সমস্যা থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে। গাছ হলো প্রাকৃতিক বায়ু ফিল্টার। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। তাই বেপরোয়া গাছ কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রত্যেককে তার জায়গা থেকে উদ্যোগ নিয়ে গাছ লাগাতে হবে। ব্যক্তিগত ও সংস্থাগত, সেই সাথে সরকারি উদ্যোগ জরুরি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমালোচনা সহ্য করা একটি মহৎ গুণ
পরবর্তী নিবন্ধজুম্’আর খুতবা