একটা তালাও না ভেঙে চুরি হলো শত শত ভরি স্বর্ণ

| সোমবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার বিপণী বিতান রাপা প্লাজায় একটি স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে অন্তত ৪০০ ভরি স্বর্ণ চুরির অভিযোগ উঠেছে। সুরক্ষিত এই শপিং মলের রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স নামে একটি দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানে অন্তত কুড়িটি তালা লাগানো থাকলেও এর একটিও ভাঙেনি চোরের দল। দেখে মনে হচ্ছে সবগুলো তালা চাবি দিয়ে খোলা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
চুরি করার আগে শপিং মলের সিসি ক্যামেরাগুলোর লেন্স ঢেকে ফেলা হয়েছে কালো টেপ দিয়ে। ফলে সিসি ক্যামেরায় চুরির কোনো দৃশ্য ধরা পড়েনি। শপিং মলটির দোতলায় অবস্থিত রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্স। দোকানটির স্বত্বাধিকারী মহাদেব কর্মকার বলছেন, শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে দোকান বন্ধ করে তালা দিয়ে কর্মচারীরা বাড়ি ফিরে যান। রবিবার সকালে শপিং মলের লোকজন আবিষ্কার করে দোকানের সবগুলো তালা খোলা। পরে দোকান মালিকদের তাকে ফোন করেন। তিনি এসে দেখেন ভেতরের ডিসপ্লে বা প্রদর্শনীর তাকগুলো ফাঁকা। তিনি বলেন, আমার দোকানে ২০ থেকে ২৫টা তালা দেয়া হয়। সকালে এসে দেখি সব খোলা। একটাও তালা ভাঙা নেই। চোর চাবি দিয়ে তালা খুলেছে। তার মানে তারা জানত এই দোকানে কী ধরনের তালা লাগানো হয়। সেই চাবি তারা বানিয়ে এনেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা শপিং মলের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজে দেখছে কাউকে শনাক্ত করা যায় কিনা। এর মধ্যে যে কয়টি সিসিটিভি ফুটেজে উদ্ধার করা গেছে সেগুলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৫ থেকে ৭ জন চোর শপিং মলে প্রবেশ করে এবং এদের মধ্যে দুই-তিনজন দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। ভেতরে যারা প্রবেশ করেছে তাদের একজনের চেহারা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
মহাদেব সাহার দাবি তার দোকান থেকে গলার হার, চুড়ি, কানের দুল, নাকফুলসহ ৩৫০ থেকে ৪০০ ভরির স্বর্ণালঙ্কার চুরি গেছে। তবে চোরদের কেউ স্বর্ণের ভোল্ট বা লকার ভাঙতে পারেনি। এদিকে বিপণী বিতানের ভেতরে ও বাইরে দুই স্তরের ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা থাকে। সেখানে এমন চুরির ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শপিংমলে টয়লেটের জানালা কেটে চোর ঢুকতে পারে। এ ঘটনার পেছনে মার্কেট কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবহেলাকে দায়ী করেন তিনি। চুরির ঘটনায় একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে প্রায় ১০ মাসের সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধমশার কয়েলে পুড়ল ৬ দোকান, রান্নার চুলার আগুনে ছাই ২ ঘর