কলেজগুলোর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। অনলাইনে এ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদন করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। ভর্তি কার্যক্রম শেষে গতকাল থেকে অনলাইনে ক্লাসও শুরু হয়েছে কলেজগুলোতে। তবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন দুটি কলেজে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি। এছাড়া ১০ জনেরও কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে আরো ৫টির বেশি কলেজে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডও একাদশে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (http://xiclassadmission.gov.bd) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী-একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি না হওয়া দুটি কলেজের মধ্যে রয়েছে মহানগরীর চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরি কলেজ এবং বোয়ালখালীর পশ্চিম কধুরখীল স্কুল এন্ড কলেজ। দুটি কলেজই একাদশে ভর্তির জন্য কোন শিক্ষার্থী পায়নি এবার।
আর ১০ জনের কম শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এমন কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটি বিজ্ঞান কলেজ, সিটি পাবলিক কলেজ, মেরন সান কলেজ, মেরিট বাংলাদেশ কলেজ, অক্সফোর্ড মডার্ন কলেজ, ও ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ। এসব কলেজের কোনটিতে ১ জন, কোনটিতে ২/৩ জন, আবার কোনটিতে ৬/৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
অতীতের পারফরম্যান্স ভালো নয় বলে কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ নেই বলে মনে করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, কলেজগুলোর অতীতের রেজাল্ট, মান-পরিবেশসহ সার্বিক পারফরম্যান্স নিশ্চয় সন্তোষজনক নয়। যার কারণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা এসব কলেজে আগ্রহী নয়। পারফরম্যান্স ভালো হলে এভাবে শিক্ষার্থীর অভাব পড়তো না। এ সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজগুলোর টিকে থাকার বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
শূন্য শিক্ষার্থীর পাশাপাশি নগন্য সংখ্যক (১০ জনেরও কম) শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া কলেজগুলোর কাছে শিক্ষক সংখ্যাসহ সার্বিক চিত্রের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। কলেজ পরিদর্শক বলেন, শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে কলেজগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হবে। পরবর্তীতে এসব কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এই সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে একটি কলেজ চালানো কঠিন বলেও মন্তব্য করেন কলেজ পরিদর্শক।
এদিকে, শূন্য শিক্ষার্থী ভর্তির আরো দুটি কলেজ রয়েছে চট্টগ্রামে। তবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি শিক্ষাবোর্ডকে অবহিত করে কলেজ দুটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয় মহানগরীর এ দুটি কলেজকে। ফলে কলেজ দুটিতেও কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। নিজেদের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ভর্তি না করানো কলেজ দুটি হলো- কর্ণফুলি পাবলিক কলেজ ও বিএস পাবলিক কলেজ।