দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধে বাধ্যবাধকতা ঋণশ্রেণিকরণের সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার জন্য ১৯ জুন এক পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবিরের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পত্রে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। আমরা এখনো জানিনা, এই রোগের প্রাদুর্ভাব কখন শেষ হবে। এর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে এবং এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে করছেন। বর্তমানে প্রতিবেশী দেশের ভেরিয়েন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা মহামারীর ফলে ক্রমবর্ধমান আর্থিক ও মানবিক বিপর্যয় আমাদের দেশকে অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক চাপে ফেলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও এর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় বর্তমান সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বহুবিধ আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে চেম্বার সভাপতি জানান।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেন-বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি ও ডিএফআইএম সার্কুলারের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণিকরণ ও ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বিদ্যমান সকল মেয়াদী চলমান/তলবী লিজ/অগ্রিম ঋণের কিস্তিসমূহের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার ফলে বিরূপমানে যাতে শ্রেণিকরণ করা না হয়। দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসার কথা বিবেচনায় নিয়ে ঋণ পরিশোধে বাধ্যবাধকতার সময়সীমা ও ঋণ শ্রেণিকরণ চলতি বছরের জুন থেকে বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করলে দেশের অর্থনীতি ও শিল্পখাত মন্দাভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারবে বলে চেম্বার সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধে বাধ্যবাধকতা ঋণশ্রেণিকরণের সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২১ ইং পর্যন্ত বৃদ্ধি করা এবং নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটশনের সুদের হার ব্যাংকের মত নির্ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।