অবশেষে নতুন আরেকটা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌরুটে স্পিডবোট চালানোর মাধ্যমে ঘাট উন্মুক্তের ঘোষণা কার্যকর হলো। দীর্ঘদিন সন্দ্বীপবাসীর দাবি ছিল নৌঘাট উন্মুক্ত করার। ঘাটে জেলা পরিষদের কর্তৃত্ব থাকায় সেটি সম্ভব হয়ে উঠেনি এতদিন।
এদিকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌঘাট থেকে বিদায় নেয় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। ঘাটের একক কর্তৃত্ব চলে আসে বিআইডব্লিউটিএর হাতে। এখন থেকে বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে রুট পারমিট নিয়ে যে কেউ চাইলে এ ঘাটে যাত্রীবাহী স্পিডবোট, সার্ভিস বোট ও মালবাহী ট্রলার চালাতে পারবে। উন্মুক্ত নৌরুট ঘোষণার শুরুতে তিন প্রতিষ্ঠান স্পিডবোট চালানোর অনুমতি পেলেও সময় যত গড়াবে ধারণা করা যায় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যাত্রী সেবায় এগিয়ে আসবে।
এদিকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের জেটির মাথায় যে সিড়ি রয়েছে সেটিসহ জেটির প্রশস্ততা কম হওয়ায় দুই বা তিনটার বেশি স্পিড বোট ভিড়তে পারে না। ভবিষ্যতে পাঁচ–ছয়টি প্রতিষ্ঠান বা তার অধিক হলে স্পিড বোট বা অন্যবোট ভিড়তে সমস্যার সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন যাত্রীরা।
সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. মোজাম্মেল জানান, উন্মুক্ত নৌরুট বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে কুমিরা–গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান স্পিড বোট ও দ্রুতগামী ১০০ আসনের জাহাজ নিয়ে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন ঘাটে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটার ভোগান্তি কমবে অন্যদিকে সন্দ্বীপ ভ্রমণে পর্যটকদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে ব্রিজের মাথায় পল্টুন দিয়ে বা জেটির প্রশস্ততা বাড়িয়ে হলেও যাত্রীরা যাতে বোটে সহজে উঠানামা করতে পারে সে ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে। এই সুবিধা কুমিরা–গুপ্তছড়া উভয় পাড়েই করতে হবে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আশরাফুজ্জামান আজাদীকে জানান, এখন যে অবস্থা আছে আপাতত চলছে। তবে নতুন আরও বোট মালিক আসলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো বলেন, গুপ্তছড়া ঘাটে চর জেগে উঠায় কাঠের ব্রিজের দু’দফায় দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে লাভ হচ্ছে না। তাছাড়া কিছুদিনের মধ্যেই কাঠ নষ্ট হয়ে ব্রিজটা অকেজো হয়ে পড়ছে।