উন্নত দেশ গড়তে উন্নয়নকে টেকসই করতে হবে

চুয়েটে সেমিনারে উপাচার্য

| মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

চুয়েটে টুমোরজ সিটি’জ এর উদ্যোগে ‘Multi-hazard Resilient and Equitable Tomorrow’s Cities’ শীর্ষক সেমিনার গতকাল সোমবার একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার এন্ড এ্যানভাইরোনমেন্টাল সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, এবং NSET-Nepal এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. রমেশ গুরাগাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বশির জিশান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গবেষণা সহকারী তানভীর মাহমুদ। সেমিনারে টুমোরজ সিটি’জ কাজের উপর টেকনিক্যাল টক প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মো. বশির জিসান, প্রভাষক মো. সোহেল রানা, গবেষণা সহকারী তানভীর মাহমুদ। প্রধান অতিথি বলেন, উন্নত দেশ গড়তে উন্নয়নকে টেকসই করে গড়তে হবে। ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সমস্যায় প্রকৌশলীবিদ, প্রযুক্তিবিদ এবং আবহাওয়াবিদদের সমন্বয়ে আমাদেরকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ ধরণের সেমিনার বর্তমানে অত্যন্ত সময়োপযোগী। কারণ এখন নগরায়ন বহুগুণে বেড়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, যে টুমোরজ সিটি’জ গবেষণা প্রজেক্ট চুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চউক ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে যুক্তরাজ্যের ইডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পরিচালনা করছে। সেমিনারে ২০৫০ সালের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ও আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের দুর্যোগ প্রতিরোধী ও সকলের জন্য সুবিধাসম্পন্ন গবেষণালব্ধ একটি সম্ভাব্য আর্বান ডেভেলপমেন্ট প্লান উপস্থাপন করা হয়। এ গবেষণা প্রকল্পে এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দুর্যোগের জন্য পলিসির সমন্বয়ে ডেভেলপমেন্ট প্লানিং সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস, ইত্যাদি দুর্যোগের জন্য জালিয়া পালং ও বৈরাগের ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি নিরূপণ করা হয়। গবেষণাটিতে সম্পন্নকৃত কর্ম এবং টিসিডিসিই পদ্ধতির প্রয়োগ করে দুর্যোগ ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরূপণের মাধ্যমে সকলের জন্য সুবিধা সম্বলিত নগরী গড়তে যেকোনো এলাকার ডেভেলপমেন্ট প্লানে এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানির চামড়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা রোধে কাজ করবে চসিক
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সং’ঘর্ষ, বহু আহত