উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার সাক্ষীকে আমার কাছে উপস্থাপন করা হয়নি

বাবুলের আইনজীবীর জেরার জবাবে সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেট এ পর্যন্ত ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড মিতু হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৬ মে, ২০২৪ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার পর জেরার জবাবে সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন (বর্তমানে তিনি শরিয়তপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আদালতকে বলেছেন, জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার প্রত্যেক সাক্ষীকে আমার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সত্য নয়। তিনি আরো বলেন, আমাকে পিবিআই’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও আইও পছন্দ করত বিধায় সকল জবানবন্দি আমাকে দিয়ে রেকর্ড করা হয়েছে, তাও সত্য নয়। গতকাল বাবুলের আইনজীবী কপিল উদ্দিনের জেরার জবাবে ২০২১ সালে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শফি উদ্দিন এ কথা বলেন। জেরা কার্যক্রমের আগে তিনি জবানবন্দি রেকর্ড বিষয়ে সাক্ষ্য দেন।

তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্য রেকর্ড করেন। সাক্ষ্যে তিনি বলেন, তিনি ২০২১ সালের ১০ মে আসামি এহতেশামুল হক ভোলার ও একই বছরের ১১ মে সাক্ষী কাজী আল মামুন ও মো. সাইফুল হকের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনকে আসামিদের পক্ষে আরো জেরা করেন আইনজীবী নিত্য লাল খাস্তগীর ও নাসির উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেশব নাথ আজাদীকে বলেন, এ নিয়ে ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড হয়েছে। আগামী ১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য রেকর্ডের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজে’ উল্লেখ করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্ঠার ডকেট ও ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ জন হলেন মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও মো. খায়রুল ইসলাম কালু। ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। ঘটনার পর বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন সেটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে নতুন এ মামলাটি বিচারাধীন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৬ মে থেকে তূর্ণা ও মহানগর গোধুলী চলবে নতুন কোচে
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : কাদের