উত্তাল সাগরে যেতে পারেনি কোনো ফিশিং ভ্যাসেল-ট্রলার

নিষেধাজ্ঞার পর এবার লঘুচাপ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ জুলাই, ২০২৪ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

টানা ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও ফিশিং ভ্যাসেলগুলোর একটিও সাগরে যেতে পারেনি। ২৮৪টি ফিশিং ভ্যাসেলসহ গভীর সাগরে মাছ ধরতে সক্ষম শত শত ট্রলার অলস বসে আছে। সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজগুলো পুরো প্রস্তুতি নিয়েও মাছ শিকার শুরু করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক ফিশিং কোম্পানি। কয়েকটি জাহাজ বহির্নোঙর পর্যন্ত গেলেও ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। আগামী ২ আগস্টের দিকে সাগর শান্ত হয়ে আসার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এরপরই হয়তো মাছ শিকার শুরু হবে।

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমকে নিরাপদ রাখতে টানা ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। গত ২০ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। শেষ হয় গত ২৩ জুলাই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ২৮৪টি ফিশিং ভ্যাসেল এবং ৬ হাজারেরও বেশি ইঞ্জিন চালিত মৎস্য নৌযান নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অন্তত ৩০ হাজার জেলে। কিন্তু উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর ভয়াবহ রকমের উত্তাল হয়ে উঠায় মাছ শিকারে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অপেক্ষাকৃত ছোট নৌযান নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় কিছু মাছ শিকার চললেও বড় জাহাজ ও ট্রলারগুলো অলস সময় কাটাচ্ছে। একাধিক ফিশিং ভ্যাসেলের মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েও সাগরে যেতে পারছি না। আমাদের জাহাজগুলো অলস বসে আছে। সাগর অত্যন্ত উত্তাল বলে মন্তব্য করে গতরাতে তিনি আজাদীকে বলেন, আমাদের ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে মাছ ধরে। কিন্তু সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকটি জাহাজ সাগরে যাওয়ার চেষ্টা করেও মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছে। আগামী ২ আগস্টের দিকে সাগর শান্ত হয়ে আসতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ থেকে বলা হয়েছে। এরপর বড় জাহাজ এবং কাঠবডি ট্রলারগুলো সাগরে মাছ শিকার শুরু করবে। সব প্রস্তুতি নিয়েও সাগরে যেতে না পারায় প্রতিটি ফিশিং কোম্পানি আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির শিকার হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের ঢেউ