ঝড়ের কবলে পড়া পাথর বোঝাই একটি লাইটারেজ জাহাজের ১২ নাবিককে উদ্ধার করেছে বিমানবাহিনীর দুটি রেসকিউ হেলিকপ্টার। ভাসানচরের কাছে চরে আটকা পড়া এমভি সানভ্যালী-৪ নামের একটি জাহাজ থেকে এসব নাবিককে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। গতকাল বিকেল পৌনে ৩টা নাগাদ তাদেরকে আনা হয়।
বিমানবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, এমভি সানভ্যালী-৪ নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ দুই হাজার টনের মতো পাথর নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করে। জাহাজটি সন্দ্বীপ চ্যানেল পার হয়ে ভাসানচরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে। এতে নৌবাহিনীর মাধ্যমে নাবিকদের বিপদে পড়ার খবর পায় বিমানবাহিনী। পরে ঢাকার তেজগাঁও থেকে বিমানবাহিনীর ১০৯ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ইউনিটের গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মো. মান্নাফির নেতৃত্বে দুটি হেলিকপ্টার গতকাল বেলা দেড়টার দিকে সাগরে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ উড়ার পর জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এই সময় একে একে ১২ নাবিককে হেলিকপ্টারে তুলে আনা হয়। তাদেরকে গতকাল বেলা পৌনে তিনটা নাগাদ বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিমানবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, জাহাজের মালিকপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে ১২ নাবিককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এমভি সানভ্যালী-৪ জাহাজটির মালিক বুলবুল আহমেদের সাথে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাহাজটি ভাসানচরের কাছে একটি চরে আটকা পড়েছে বলে জাহাজের মাস্টার এবং ড্রাইভার জানিয়েছেন। ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজটির হ্যাজের ত্রিপল ছিঁড়ে যায়। এতে হ্যাজে পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়। তবে তিনি গতরাত পর্যন্ত জাহাজটি ডুবেনি বলে দাবি করে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জাহাজটিকে উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।