উত্তাপ কম, তবু কেন ঘামছে মানুষ

আগেই আসছে বর্ষা

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মে, ২০২৪ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর ফের বাড়তে শুরু করেছে গরম। এপ্রিলের শুরু থেকে তীব্র গরমের অনুভূতির সঙ্গে এখনকার অনুভূতির পার্থক্যও আছে। রোদ না থাকলেও ঘেমে ভিজে যাচ্ছে শরীর। খবর বিডিনিউজের।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝিতেই আগামী সপ্তাহেই বর্ষা টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত চলে আসবে বলেও জানিয়েছে তারা। গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টির পর গরম বাড়তে থাকে। তিন দিন পর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তার পরদিন সকালে সেটি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর প্রভাবে রবি ও সোমবার ঝড়বৃষ্টির কবলে ছিল দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল। টানা ২৪ ঘণ্টার বেশি বৃষ্টিতে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়েছে। গতকাল বুধবার মেঘ কেটে যাওয়ায় সূর্য কিরণ সরাসরি পড়ছে, তাতে তাপমাত্রাও বাড়ছে। এমন গরমের সময় আর্দ্রতা বাড়ায় অস্বস্তিকর অনুভূতিও বেড়েছে। শরীর ঘেমে যাচ্ছে অল্পতেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে। এই সময়ে দেশের কোথাও কোথাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিও হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৪৬ মিলিলিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এর প্রভাব বর্ষা শুরু হয়ে যেতে পারে।

নিম্নাঞ্চলে বন্যার আভাস : বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে থেকে আগামী কয়েক দিনে নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং অঞ্চল ভেদে বন্যার সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সজল কুমার রায় বলেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে এবং এর সংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে এ সময়ে উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল ধীর গতিতে এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। এই সময়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীগুলোর পানি সমতল কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করে আশপাশের নিম্নাঞ্চলে ‘স্বল্পমেয়াদি বন্যা’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও যোগ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনানিয়ারচরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অমর জীবন
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪ নেতাকে অব্যাহতি