চট্টগ্রাম– ৪ আসন (সীতাকুণ্ড) থেকে ১০নং উত্তর কাট্টলী এবং ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডকে চট্টগ্রাম–১০ আসনে (পাহাড়তলী–খুলশী–হালিশহর) অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় ভোটার ও বাসিন্দারা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
উক্ত মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, এই দুটি ওয়ার্ডের জনগণ ‘দ্বৈত শাসনে’ আছেন। ওয়ার্ড দুটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে হলেও বর্তমানে তা সীতাকুণ্ড উপজেলার সাথে যুক্ত।
২০০৮ সাল পর্যন্ত এই ওয়ার্ডগুলো তখনকার সময়ের চট্টগ্রাম–৮ আসনের (ডবলমুরিং–পাহাড়তলী–পতেঙ্গা) অংশের সঙ্গে ছিল। এই সংসদীয় আসন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো নেতারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সুবিধার্থে ওয়ার্ড দুটিকে সীতাকুণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, গত ১৫ বছরে এই দুটি ওয়ার্ডে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সীতাকুণ্ড উপজেলা গ্রামীণ এলাকা হলেও, এই দুটি ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের অংশ। ফলে উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এখানকার মানুষ অনেক পিছিয়ে আছে। তারা নিজেদেরকে ‘ছিটমহলের অধিবাসী’ বলে অভিহিত করেন। এলাকাবাসী জোর দাবি জানায়, উত্তর কাট্টলী ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড দুটিকে চট্টগ্রাম– ১০ আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক হাসেম আলী মিয়া, আল আমিন হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহাদাত হোসেন, সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সাহেদ আকবর, এডভোকেট জাহেদ হোসেন, রেজাউল করিম, মো. মোরশেদ চৌধুরী, এডভোকটে ওমর ফারুক, মো. পারভেজ, দোলন দেব, শুভ্রত দে, গোতম সেন, আবু সায়েদ চৌধুরী বাপ্পা, লোকমান হোসেন, মনির উল্লাহ, মোশারফ হোসেন, রাশেদুল করিম, মো. তুহিন, নওশাদ আলী, আশরাফ উদ্দীন ও রকি প্রমুখ।