উত্তরাধিকার আইন ও নারীর অধিকার

রিমঝিম আহমেদ | শনিবার , ৪ মে, ২০২৪ at ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

সন্তানের সম্পর্ক হোক কিংবা পিতামাতার সম্পর্ক হোক অথবা অন্য কোনো সম্পর্ক হোক, প্রত্যেকটিতেই সম্পৃক্ততার মর্যাদা ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সমান। ছেলে যেমন পিতামাতা থেকে জন্মগ্রহণ করে, তেমনি মেয়েও পিতামাতারই সন্তান। উত্তরাধিকার স্বত্ব সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই মেয়েকে বঞ্চিত করার কোনোই কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশের বিদ্যমান আইনে নারীর ও পুরুষের মধ্যকার যে সম্পত্তির বণ্টনব্যবস্থা তা বিবেচনায় আনলে নারীর প্রতি বৈষম্য প্রকটভাবে ধরা পড়ে। তা স্বত্বেও বিদ্যমান আইনে সম্পত্তির বণ্টনব্যবস্থায় নারীর যেটুকু অধিকার আছে, তা থেকেও নারীকে বঞ্চিত করা হয়।

২০১১ সালে প্রণীত নারী উন্নয়ণ নীতি অনুযায়ী– ’নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জরুরি বিষয়াদি যথাস্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, জীবনব্যাপী শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, তথ্য ও প্রযুক্তিতে নারীকে পূর্ণ ও সমান সুযোগ প্রদান করা (ধারা ২৫.)। ২৫.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, উপার্জন উত্তরাধিকার, ঋণ, ভূমি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করা। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতির সকল কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় ও সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ২৩.৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সম্পদ, কর্মসংস্থান, বাজার ও ব্যবসায় নারীকে সমান সুযোগ ও অংশীদারিত্ব দেওয়া। ২৩.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নারীপুরুষের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্য দূর করা। ২৩.৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির প্রয়োগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিহত করার লক্ষ্যে নারীর অনকূলে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা। ১৭.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন ও প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা। ১৭.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বৈষম্যমূলক কোনো আইন প্রণয়ন না করা।’

অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকারএর কথা বলা থাকলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারী এখনো সম্পত্তিতে সমান অধিকার কিংবা স্বসম্পত্তি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জন করতে পারেনি। বেশি দূর যাওয়ার দরকার নেই, নিজেদের পরিবারে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে খোঁজ নিলে দেখা যাবে বোনদের প্রাপ্য সম্পত্তি দিতে বেশিরভাগ ভাইয়েরই অসুবিধা হয়। নানা ধরনের টালবাহানাকূটকৌশল প্রয়োগ থেকে শুরু করে নির্যাতন এমনকি হত্যার নজিরও আছে। আর, মা তো সারাজীবনই দাতা। সন্তানের প্রতি অপত্য স্নেহেই হোক, কিংবা সমাজ শৃঙ্খলার অঙুলি নিদর্শন, যাই হোক, মায়ের সম্পদ পক্ষান্তরে সন্তানেরই। কোনো মা স্বাধীনভাবে তা ভোগদখলের দাবি তুললে গেল গেল রব ওঠে।

প্রকৃতপক্ষে উত্তরাধিকার আইন খুব জটিল। সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে কোনো সরকার আজ অব্দি যুগ ভাঙার সাহস করেননি। পৈত্রিক সম্পত্তিতে এখনো নারী ও পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং মুসলিম নারীরা বিবাহসূত্রে স্বামীর সম্পত্তিতে অংশীদার ও দেনমোহর পায়, এই বাহানায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে তার অধিকার গৌণ হয়ে যায়। উত্তরাধিকার আইনে নারী নিম্নলিখিতরূপে সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার লাভ করে।

) মাতারূপে

) স্ত্রীরূপে

) কন্যারূপে এবং

) ভগিনীরূপে

প্রথম তিন শ্রেণির মহিলা উত্তরাধিকার আইনে চিরস্থায়ী ভাগীদার। কোনো অবস্থাতেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে এদের বঞ্চিত করা যায় না। তাদের অংশীদারিত্ব হারায় না বা নষ্ট হয় না। যেমন মাতা তার সন্তানের ত্যাজ্যবিত্ত অর্থাৎ সন্তানের মৃত্যুতে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে সকল অবস্থায় অংশীদার। কেউ তাকে তার এ অংশীদারিত্ব থেকে বাদ দিতে পারবে না। তেমনি, স্বামীর ত্যাজ্যবিত্তসম্পত্তিতে স্ত্রী সর্বঅবস্থায় সম্পত্তির ভাগীদার। সে সন্তানবতী বা সন্তানহীন সকল অবস্থাতেই তার উত্তরাধিকারিত্ব বজায় থাকে। কোনো অবস্থাতেই তার উত্তরাধিকারিত্বকে হরণ বা লোপ করা যায় না। তবে মাতা, স্ত্রী, কন্যা উত্তরাধিকার আইনে এদের অংশ সুনির্দিষ্ট। তাই মুসলিম আইনে এ তিন শ্রেণির মহিলা সুনির্দিষ্ট অংশীদার। সুনির্দিষ্ট অংশীদারদের বাদ দিয়ে আর যেসব মহিলা জ্ঞাতি মৃতের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করে তারা হচ্ছে মাতার দিক থেকে ঊর্ধ্বগামী বংশধর মহিলারা। যেমনমাতামহী, প্রমাতামহী এবং তদূর্ধ্বের মহিলারা। তেমনি পিতার দিক থেকে পিতামহী, প্রপিতামহী এবং ঊর্ধ্বগামী মহিলাগণ। তবে এসব মহিলারা কিছু বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতেই শুধু মৃতের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করে, নতুবা নয়। যেমন মৃতের মাতা বেঁচে থাকলে মাতামহী উত্তরাধিকারিত্ব হারাবে। তেমনি পিতার জীবিতাবস্থায় পিতার মাতা অর্থাৎ দাদী মৃতের সম্পত্তিতে কোনো উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করবে না। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে সুনির্দিষ্ট ওয়ারিশরা কি হিস্যায় সম্পত্তি পাবে, তার অংশ হচ্ছেমৃত ব্যক্তির মাতা তার সন্তানের ত্যাজ্য সম্পত্তিতে দুই অবস্থায় দুই ধরনের অংশীদার হন।

মৃত ব্যক্তি সন্তান রেখে মারা গেলে মায়ের অংশ হবে। ১/৬ অর্থাৎ মোট সম্পত্তির ৬ ভাগের এক ভাগ, আর মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে মা পাবে মোট সম্পত্তির ১/৩ । অর্থাৎ এক্ষেত্রে মায়ের প্রাপ্য দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

স্ত্রীও তার মৃত স্বামীর ত্যাজ্য সম্পত্তিতে দুই অবস্থায় দুই ধরনের অংশীদার হয়। যেমন: তাদের যদি সন্তান থাকে তবে স্ত্রীর অংশ হবে ১/৮ ভাগ। প্রচলিত কথায় দু’আনা। আর স্ত্রী নিঃসন্তান হলে তার অংশ হবে ১/৪ ভাগ। অর্থাৎ মোট সম্পত্তির চার ভাগের একভাগ। এক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হচ্ছে, একই অবস্থায় স্বামীর জীবদ্দশায় যদি স্ত্রী মারা যায়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু হিস্যার ব্যাপারটি আকাশপাতাল ফারাক হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রী তার মৃত স্বামীর ত্যাজ্যবিত্তে যেখানে পাচ্ছে অবস্থা ভিন্নে ১/৮ ও ১/৪ ভাগ, স্বামীর বর্তমান সেখানে মৃত স্ত্রীর ত্যজ্যবিত্ত স্বামীর প্রাপ্য অংশ সোজা দ্বিগুণ অর্থাৎ স্বামী তার স্ত্রীর সম্পত্তিতে হিস্যা পাবে নিঃসন্তান অবস্থায় অর্থাৎ মোট অর্ধেক আর সন্তান থাকলে পাবে।

এটি একটি বৈষম্যমূলক বিধান। যা নিয়ে দীর্ঘদিনের আন্দোলন, বৈষম্য দূরীকরণের জন্য, সমতাভিত্তিক আইনের জন্য। উত্তরাধিকার আইনে নারীপুরুষের এ বৈষম্যমূলক বণ্টন ব্যবস্থা দূর হওয়া জরুরি।

অপরদিকে, কন্যাসন্তান তার মৃত পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হিস্যা প্রাপ্ত হয়। সুনির্দিষ্ট অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে সেই অবশিষ্টাংশ পুত্রকন্যাদের মধ্যে ভাগ হয়। কন্যা তার ভাইএর সাথে ভাগ পায়দুই কন্যা সমান এক পুত্র হিসেবে। অর্থাৎ কন্যার দ্বিগুণ পাবে পুত্র। কোনো পিতামাতার যদি পুত্রসন্তান না থাকে শুধু একটিমাত্র কন্যাসন্তান থাকে তবে সেক্ষেত্রে কন্যাসন্তানের অংশ হবে সুনির্দিষ্ট ১/২ ভাগ। যদি চারজন কন্যা রেখে মারা যায় তবে সেক্ষেত্রে এ দুই ভাগ প্রাপ্য হবে চার কন্যা। এখানে চার কন্যার জন্য সম্পত্তির অংশ বেড়ে যাবে না।

মৃতের বোনেরা কিছু বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে মৃত ভাইএর ত্যাজ্য সম্পত্তিতে অংশীদার হয়। অবস্থাগুলো হচ্ছে

() যদি মৃত ব্যক্তির কোনো সন্তানসন্ততি না থাকে। () যদি মৃতের পিতা অথবা মাতা জীবিত না থাকে।

() যদি মৃতের আপন কোনো ভাই জীবিত না থাকে, কেবল সেই ক্ষেত্রে মৃতের সম্পত্তিতে তার বোন অংশের হকদার হবে।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মেয়েদের বড় করুণ অবস্থা। হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বিবাহিত কন্যাসন্তান তার পিতার সম্পত্তিতে কোনো ওয়ারিশ হয় না। এ জন্য বিবাহের সময় হিন্দু মেয়েদের যৌতুক দেয়ার প্রথা প্রচলিত। অবিবাহিতা মেয়েরা বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত এবং চিরকুমারী কন্যার জীবনস্বত্বে পিতার সম্পত্তি থেকে ভরণপোষণ পায়। হিন্দু বিধবা মহিলা কেবল তার জীবনস্বত্বে মৃত স্বামীর ত্যাজ্য সম্পত্তিতে ভোগ দখলের অধিকার লাভ করে। একমাত্র ভোগদখল ছাড়া বিধবা সেই সম্পত্তি বিক্রি, বন্ধক বা অন্য কোনো প্রকার হস্তান্তরের অধিকার লাভ করে না। বিধবার মৃত্যুর পর সেই সম্পত্তি পুনরায় মৃতের ভাইদের কাছে চলে আসে। ভাইএর অবর্তমানে ভাইএর পুত্রেরা সেই সম্পত্তির মালিকানা লাভ করে। বাংলাদেশে খ্রিস্টান উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ সালে ভারতীয় উত্তরাধিকারিত্ব আইন, যা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির ৪৮/৭২ নং আদেশ দ্বারা ২৬৭১ ইং তারিখ থেকে বলবৎ হয়েছে।

৯৫৬ সালের ভারতীয় হিন্দু ব্যক্তিগত আইন (হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন) নারীকে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি প্রাপ্তির অধিকার প্রদান করে। পুত্রসন্তানরা পূর্বপুরুষের সম্পত্তির একটি অংশের প্রাপক ছিল, কিন্তু কন্যাসন্তানরা কেবল তাদের পিতার প্রাপ্ত অংশের ওপর একটি অংশ পেত। পিতা যদি তার পূর্বপুরুষের সম্পত্তির দাবি ত্যাগ করত, তাহলে তার কন্যা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো। তবে তার পুত্র তার নিজের অংশের ওপর অধিকার বজায় রাখতে পারত। এমনকি বৈবাহিক জীবনে নিপীড়নের সম্মুখীন মহিলাদেরও তাদের পূর্বপুরুষের বাড়িতে বসবাসের কোনো অধিকার ছিল না। বেশির ভাগ ভারতীয় পরিবারের মহিলাদের নামে কোনো সম্পত্তির মালিকানা নেই। তারা পৈতৃক সম্পত্তির অংশ পায় না। তাদের সুরক্ষার্থে থাকা আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে নারীরা এখনও বহু ক্ষেত্রে জমি ও সম্পত্তির প্রকৃত অধিকার পায় না। ভারতে সম্পত্তির ওপর নারীর অধিকার ধর্ম ও গোত্রের ওপর নির্ভরশীল বহু আইনি ও প্রথাগত জটিলতার জালে আবদ্ধ। ২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধনের ফলে নারীকে এখন পুরুষের সমান ও বৈধ অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশের হিন্দু আইনের কোনো রকম পরিবর্তন বা সংশোধন করা হয়নি। এখনও ১৯৩৭ সালের আইন বলবৎ রয়েছে। বিধবারা স্বামীর কৃষিঅকৃষি সকল সম্পত্তিরই ভাগ পাবে, তবে জীবন স্বত্বে। বিধবারা জীবদ্দশায় সব সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে, তবে কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। এই রায় যদিও কোনো যুগান্তকারী ঘটনা নয়, তবুও বলতে হয়, এত বছরেও হিন্দু সমাজ তাদের উত্তরাধিকারী আইনটি নিয়ে কখনও প্রশ্ন তোলেনি।

খ্রিস্টান উত্তরাধিকারিত্ব আইনে উত্তরাধিকারিত্ব অর্জনে নারীপুরুষের অংশের বৈষম্য করে নাই। ‘পিতার ত্যাজ্যবিত্তে ’ পুত্র এবং কন্যা সমান অংশের অংশীদার। খ্রিস্টধর্মের কোনো লোকের এক পুত্র এবং চার কন্যা থাকলে, সম্পত্তি সমান পাঁচ অংশে ভাগ হবে। খ্রিস্টান বিধবা নিঃসন্তান অবস্থায় স্বামীর সম্পূর্ণ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারিত্ব লাভ করে।

এ হচ্ছে সংক্ষিপ্তাকারে বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মহিলাদের উত্তরাধিকার আইনে অংশ প্রাপ্তির হিস্যা। তবে বাংলাদেশের মুসলিম এবং হিন্দু মহিলারা উত্তরাধিকার আইনের সংশোধনের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

তথ্যসূত্র: জাতীয় নারী উন্নয়ণ নীতি, ২০১১, উত্তরাধিকার আইনসমূহ

শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ধান ক্ষেতে সেচের পানি দেয়া নিয়ে মারামারি, পিতা-পুত্রের মাথায় ১৮ সেলাই
পরবর্তী নিবন্ধসুধাময়ী সংগ্রাম ও সাফল্যের নাম