উচ্ছেদের পর বাংলাবাজারে ফুটপাত আবারো বেদখলে

চাঁদাবাজির অভিযোগ নারীসহ পুরনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর শেরশাহ বাংলাবাজারে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের পরদিন আবারো বেদখলে চলে গেছে। এবার এক নারীসহ পুরনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। গত দুই সপ্তাহ আগে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বায়েজিদ শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিল। এ সময় ফুটপাতের ওপর অবৈধ দখলে থাকা শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।স্থানীয়রা জানান, সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের পরদিন সকালে আবারো ধীরে ধীরে জায়গা বেদখল হয়ে যায়। বিভিন্ন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের টাকার বিনিময়ে সেখানে দোকান বসিয়ে ব্যবসার সুযোগ করে দেয় সিন্ডিকেটের লোকজন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার সিন্ডিকেটের সাথে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন এক নারী। ওই নারী এলাকায় পুলিশের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। অবশ্য তার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভানেত্রী ও পুলিশের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই নারী বাংলাবাজারে বিভিন্ন ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। মূলত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাবাজারে চাঁদা তোলার দায়িত্বে থাকা হানিফ ও মানিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার পর ওই নারীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি ভাগ যাচ্ছে বায়েজিদ থানার নামে। বায়েজিদ থানার পক্ষ থেকে ওসির গৃহভৃত্য হিসেবে থাকা আকাশ নামে এক ব্যক্তি এসব চাঁদা তোলার বিষয়টি দেখভাল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি বায়েজিদ থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজনের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে গত বুধবার একদিনেই থানায় পাঁচটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা হলেন, বাংলাবাজারে ফুটপাতে ব্যবসায়ী দুলাল, জাবেদ, আবু তাহের, মো. কবির ও আনোয়ার হোসেন। ফুটপাতে ব্যবসার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি ও নারী কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন মামলায় তাদের ফাঁসানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে জান্নাত বেগমের বিরুদ্ধে। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। এ সময় বাংলাবাজার মোড়েই সরকারি জায়গা দখল করে বাংলাবাজার মহিলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি নামে একটি সংগঠনের অফিস গুড়িয়ে দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। তবে উচ্ছেদের দু’দিন বাদে আবারো সেখানে অফিস তৈরি করে ফুটপাতের চাঁদা নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই নারীসহ সিন্ডিকেটের লোকজন।
জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, এসব অভিযোগের বিষয় আমার জানা নেই। তবে এই ধরনের অভিযোগের প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর বসে থাকলে হবে না : আমির খসরু
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে; সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক শিগগিরই