শিকলবাহা থেকে হাটহাজারী এবং শিকলবাহা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে বিভিন্নস্থানে গাছ ও গাছের ডালপালা বেড়ে সঞ্চালন লাইনের তারের সাথে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বিভিন্ন লোকালয়। একাধিক স্থানে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর গাছ না কাটায় বোয়ালখালী চরখিজিরপুর এলাকায় তারের সাথে গাছের সংঘর্ষে বড় ধরনের দুর্ঘটনা পরিস্থিতি তৈরি হলেও ভাগ্যক্রমে বেছে যায় স্থানীয় লোকজন। চরখিজিরপুর এলাকার আবদুল মোতালেব জানান, জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে ও আশপাশে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো গাছ থাকার কথা না থাকলেও নিয়মের সামান্যই তোয়াক্কা করা হচ্ছে। বিভিন্নস্থানে গাছের ডালপালা তার ছুঁই ছুঁই করছে। বাতাসে সঞ্চালন লাইনের সাথে গাছের স্পর্শ লেগে প্রায়ই আগুনের স্ফুলিংগ বের হয়। এতে আমরা খুব আতংকের মধ্যে রয়েছি। বোয়ালখালী উপজেলার আবদুল কাদের জানান, বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে আকাশি গাছ ও বাঁশের বাগান থাকায় বাতাসের সাথে তারের সংঘর্ষে আগুন ঝলকিয়ে উঠে। গাছগুলো না কাটলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় শিকলবাহা-হাটহাজারী পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ও আনোয়ারা-শিকলবাহা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনটি গত অক্টোবর মাসে চালু করা হয়। জাইকার অর্থায়নে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে এসব বিদ্যুৎ।
ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুকান্ত লাল নাগ জানান, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচের গাছগুলো কাটার জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি। আবার অনেক স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের নিচে ঘরও আছে। এক্ষেত্রে আমরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারি না। আগামী মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করছি এর মধ্যে আমরা অনেক কাজ করতে পারব।