কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া এস.টি দাখিল মাদ্রাসার সরকারি সরবরাহকৃত ১২০০ কেজি নতুন পাঠ্যবই বিক্রির ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত সুপারসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রোকন উদ্দীন ও শিক্ষক নুরুল ইসলাম গোপনে মহেশখালী এলাকার স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী মো. ইমরানের কাছে বই হস্তান্তর করতে গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি ধরে ফেলেন। উত্তেজিত জনতা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মাস্টার জাফর আলম অভিযোগ করেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের পর থেকে রোকন উদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে।”
এই ঘটনায় সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়ের করা মামলায় পুলিশ চারজনকে আটক করে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রোকন উদ্দীন, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দীন, বই ক্রেতা মো. ইমরান ও বই বহনকারী গাড়ির চালক আজমত আলী।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, “জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।”
এছাড়া, গতকাল রাতে ঈদগাঁও থানার বিশেষ অভিযানে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন—শামসুল আলম (৫৮), সালেহা আক্তার (২৮), রেজাউল করিম ও দেলোয়ার হোসেন। এদের মধ্যে ২ জনের কাছ থেকে ইয়াবা ও চোলাই মদ জব্দ করা হয়। বাকী ২ জন সিআর সাজা পরোয়ানামূলে আটক।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মছিউর রহমান দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, বই বিক্রি কাণ্ডে গ্রেফতারকৃত চারজন ও বিশেষ অভিযানে চারজনসহ মোট আটজন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।