ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির স্থায়ী কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য ‘বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন’ পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই পরীক্ষার পরিবর্তে প্রচলিত পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট শুনানির পর এ নির্দেশ দেন। আদালত আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। ইসলামী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা এই রিট করেছিলেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার আশরাফুল হাসান সিদ্দীক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আশিক আল জলিল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সালাউদ্দীন দুলন।
রিটে বলা হয়, গত ১৪ আগস্ট ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ আগামী ২৯ আগস্ট ৯ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর জন্য বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিল। এর বিপরীতে গত ২১ আগস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই পরীক্ষার বিপরীতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত সেই রিটটি বিবেচনায় নিয়ে এই নির্দেশ দেন।
মূল্যায়ন পরীক্ষার আড়ালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতির পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ করেছেন রিটকারী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ‘ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তারা ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠিত নিয়মে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাদের অনেকেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমাসহ ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ফলে এই নতুন পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় এবং বৈষম্যমূলক।’
রিটকারীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের এ রায়ে কার্যত ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে কর্মচারীরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।
এদিকে আদালতের আদেশের কয়েক ঘণ্টা পরই ইসলামী ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএইচআরও ড. এম কামাল উদ্দিন জাসিমের সই করা ওই স্মারকে জানানো হয়, ‘প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির স্বার্থে আসন্ন পরীক্ষা পুনঃনির্ধারণ করা হলো এবং নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’