ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক কমান্ডারসহ তিনজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় আঘাত হেনে তাদের হত্যা করা হয় বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার গাজার যোদ্ধারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে পাঁচ শতাধিক রকেট ছুড়েছে। আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির ১৩০টিরও বেশি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এতে নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের সূচনা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
টানা তিন দিন ধরে ইজরায়েলি সেনার ড্রোন এবং বিমানহানায় গাজা ভূখণ্ডে ২৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন নারী ও পাঁচ শিশু এবং ইসলামি জিহাদের আরও তিন কমান্ডার রয়েছেন।
ইসরায়েল লক্ষ্য করে গাজা থেকে ছোড়া শত শত রকেটের কয়েকটি কিছু বাড়ি ও ভবনে আঘাত হানলেও কেউ হতাহত হয়নি। অধিকাংশ রকেটই হয় খোলা জায়গায় পড়েছে নয়তো সেগুলোকে বাধা দিয়ে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের প্রধান আলি হাসান ঘালি, যিনি আবু মুহম্মদ নামেও পরিচিত, মারা গেছেন বলে পিআইজের সশস্ত্র শাখা নিশ্চিত করেছে। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের পর ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির দ্বিতীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী হল ইসলামিক জিহাদ। কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের চালানো বহু রকেট হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। ঘালি ও গাজায় আরও দুই ইসলামিক জিহাদ কমান্ডারকে লক্ষ্যস্থল করার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তারা ঘালিকে পিআইজের কেন্দ্রীয় একজন নেতা হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো ব্যাপক রকেট হামলার জন্য সে দায়ী।
গত বুধবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের অভিযান শেষ হয়নি। মঙ্গলবার পিআইজের তিন কমান্ডারকে হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে অর্থপূর্ণ আঘাত হেনেছি আমরা, এর আগে তারা কখনোই এমন পরিস্থিতির শিকার হয়নি। এই দুই পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে প্রতিবেশী আরব দেশ মিশর কাজ করছে বলে জানা গেছে।