ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করলে চূড়ান্ত চুক্তিতে প্রস্তুত হামাস

গাজার ‘গণহত্যা’ নিয়ে বক্তব্য, নিউইয়র্কে চাকরি খোয়ালেন মুসলিম নার্স

| শনিবার , ১ জুন, ২০২৪ at ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বৃহস্পতিবার বলেছে, ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলে তারা বৃহৎ পরিসরে জিম্মিবন্দি বিনিময় চুক্তিসহ একটি ‘সম্পূর্ণ চুক্তি’ করতে প্রস্তুত থাকার কথা মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি এই সংগঠনের এক বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়েছে। খবর সিনহুয়ার। খবর বাসস/বিডিনিউজের।

হামাস বলেছে, তারা আগের সমস্ত পরোক্ষ আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় নমনীয় এবং ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এমন আলোচনার ফাঁকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য দল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন, হত্যা, অবরোধ ও গণহত্যা’ অব্যাহত রাখার এমন নীতি মেনে নেবে না।

ইসরায়েলের সরকারি সমপ্রচার কেন্দ্র কান মঙ্গলবার জানিয়েছে, হামাসের সাথে বন্দী বিনিময় এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য ইসরায়েল কাতার ও মিশরের কাছে দেশটির প্রস্তাবসহ একটি নথি হস্তান্তর করেছে। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলের হামলার পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বশেষ দফার পরোক্ষ আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে। এই মাসের গোড়ার দিকে মিশর দুই দিনের এই আলোচনার আয়োজন করে।

গাজার ‘গণহত্যা’ নিয়ে বক্তব্য, নিউ ইয়র্কে চাকরি খোয়ালেন মুসলিম নার্স: এদিকে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, এমন মন্তব্য করে চাকরি খুইয়েছেন নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন ফিলিস্তিনিআমেরিকান মুসলিম নার্স। রয়টার্স জানিয়েছে, গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় সন্তান হারানো শোকার্ত মায়েদের নিয়ে কাজ করেন হাসেন জাবের নামের এই নারী নার্স। সেই কাজের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি গাজার ‘গণহত্যা’ নিয়ে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিভাজনমূলক’ এই বিষয়ে কথা না বলতে লেবার এবং ডেলিভারি নার্স জাবেরকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।

নার্স হাসেন জাবের এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, গত ৭ মে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। তখন তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপরই তাকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জাবের তার বক্তব্যের একটি অংশে গাজা যুদ্ধে সন্তান হারানো শোকার্ত মায়েদের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, এই পুরস্কার তার কাছে ‘খুবই ব্যক্তিগত’ গুরুত্ব বহন করে।

গাজায় চলমান গণহত্যার মধ্যে আমার দেশের নারী যে অকল্পনীয় ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দেয়, বলেন তিনি। এক ইমেইল বার্তায় হাসপাতালটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে এই ‘বিভাজনমূলক এবং বিচারাধীন বিষয়ে’ যেন কথা না বলেন, সে জন্য গত ডিসেম্বরে নার্স হাসেন জাবেরকে সতর্ক করা হয়েছেল। তার পরিবর্তে তিনি কর্মীদের মূল্যায়নের একটি অনুষ্ঠানকে বেছে নেন, যেখানে তার অনেক সহকর্মী উপস্থিত ছিল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার মন্তব্যে মর্মাহতও হয়েছে। এর ফলে, জাবের আর এনওয়াইইউ ল্যাংগোনের কর্মী থাকছেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসহিংসতার আরও দুই মামলায় খালাস পেলেন ইমরান
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার