ইসরায়েলে গতকাল মঙ্গলবার এক ঝাঁক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। লেবাননে ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জবাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার সময় ইসরায়েলজুড়ে বেজেছে সাইরেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে জেরুজালেম এবং জর্ডান রিভার ভ্যালি থেকে। ইসরায়েলিরা নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভি সম্প্রচারের সময় সাংবাদিকরা মাটিতে শুয়ে পড়ে। খবর বিডিনিউজের।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বলেছে, ইরান এক ঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে ছুড়েছে। ইসরায়েল এই হামলার পাল্টা জবাব দিলে তেহরানের জবাব আরও ‘মারাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক’ হবে। ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি একটি নিরাপদ স্থানে আছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে দেখেছেন। ইসরায়েলের সামরিক বেতার বলেছে, ইরান থেকে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে লোকজনকে সতর্ক করেছিল। তাদেরকে এমন হামলার ক্ষেত্রে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
লেবাননে ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলের বিমান হামলার নিহত হওয়ার পর ইরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। নাসরাল্লাহ হত্যার পরপরই ইসরায়েল লেবাননে সীমিত আকারে স্থল অভিযান শুরু করার পর ইরান থেকে ইসরায়েলে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হল।