ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি বন্ধ রাখবে বলে ঘোষণা হামাসের

জিম্মি মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি বাতিল হওয়া উচিত : ট্রাম্প

| বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লঙ্ঘন করছে, এমন অভিযোগ তুলে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া বন্ধ রাখবে বলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে। গত সোমবার দেওয়া তাদের এ ঘোষণা গাজা যুদ্ধবিরতিকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে আর সংঘাত ফের শুরু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।

গত তিন সপ্তাহ ধরে যেমনটি ঘটেছে তেমনিভাবে আগামী শনিবার হামাসের আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল আর এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার ও আটক কেন্দ্রগুলোতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। হামাস বলেছে, মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য যেন চাপ সৃষ্টি করতে পারে তার জন্য শনিবারের পাঁচ দিন আগেই ঘোষণাটি দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, বন্দি বিনিময় যেন ‘যথা সময়েই ঘটে’ তার জন্য ‘দরজা খোলা রেখেছে’ তারা। খবর বিডিনিউজের।

হামাসের পদক্ষেপকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির পুরোপুরি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজায় যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে শনিবার দুপুরের মধ্যে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত ইসরায়েলের। তিনি হামাসের ঘোষণাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কী হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার তিনি ইসরায়েলের ওপর ছেড়ে দেবেন। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব জিম্মিকে ফেরত দেওয়া না হয়আমার মনে হয়, এটাই উপযুক্ত সময়। আমি বলব, এটি (যুদ্ধবিরতি) বাতিল কর। ট্রাম্পের এই আলটিমেটামে গাজায় তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া উচিত। দুইজন, একজন, তিনজন কিংবা চারজন করে নয়। আমরা তাদের সবাইকে ফেরত চাই। জিম্মিদের ফেরানোর সময়সীমা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নয়, খোদ তিনি সময়সীমা দিচ্ছেন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, শনিবার ১২টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। তা যদি না হয়, তাহলে (গাজায়) আবার নারকীয় পরিস্থিতি ফিরে আসবে। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বক্তব্যে ট্রাম্প জর্ডান ও মিশরে সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার পরিকল্পনামতো জর্ডান ও মিশর যদি গাজার ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী হিসাবে না নেয়, তাহলে তিনি দেশগুলোর জন্য সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওপেনএআই কিনতে চান মাস্ক, এক্স কেনার পাল্টা প্রস্তাব অল্টম্যানের
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনায় মীরসরাইয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত