ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩

| মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ, ২০২৫ at ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ইয়েমেনের হুতিরা জানিয়েছে, রোববার তাদের একাধিক অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। একইসাথে রেড সি উপকূলে হোদাইদা বন্দরে নতুন করে হামলা চালানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বাংলানিউজের।

নিহতদের মধ্যে পাঁচট শিশুও রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুতিনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলসবাহি জানান, হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচটি শিশু ও দুইজন নারী রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৮ জন। মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হুতিরা যদি ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর হামলার হুমকি না তুলে নেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। সামরিক অভিযান মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। বার্তাসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযান আরও কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে। গত রোববার হুতিদের শীর্ষ নেতা আব্দুল মালিক আলহুতি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তার যোদ্ধারা রেড সিতে মার্কিন জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। তিনি টেলিভিশনে সমপ্রচারিত এক ভাষণে বলেন, যদি তারা হামলা চালিয়ে যায়, তাহলে আমরাও আরও শক্তভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো।

এদিকে, হুতিদের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা মার্কিন হামলার পাল্টা জবাবে রেড সিতে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে বলেছেন, যখনই হুতিরা বলবে তারা আমাদের জাহাজে হামলা বন্ধ করবে, তখনই আমরাও তাদের ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা বন্ধ করবো। তবে ততদিন পর্যন্ত এই অভিযান থামবে না।

এটি শুধু আমাদের জাহাজের নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং রেড সির মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথ নিরাপদ রাখা আমাদের জাতীয় স্বার্থ। ইরান অনেকদিন ধরে হুতিদের সহযোগিতা করে আসছে। এবার তাদের সরে দাঁড়াতেই হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৪.০৪ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কারফিউ