যে প্রাণ শাশ্বত সুদীপ্ত সূর্য হয়ে
অবিরাম অনিঃশেষ আলো ছড়ান
আমাদের জীবনে ও মরণে –
তিনি সিরাজুম মুনির।
উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের মত
ভোরের স্নিগ্ধতায়, সন্ধ্যার লালিমায়
যাঁর পার্থিব জীবনের প্রথম ও শেষ জীবন চাওয়া
তিনি ত্বাহা, তিনি ইয়া–সীন,
তিনি মুজ্জাম্মিল, তিনি মুদ্দাস্সীর।
মধ্যাহ্নের তেজস্বীতায় যাঁর মধ্যজীবন সমুজ্জ্বল
তিনি শাফিউন, সুপারিশকারী,
তিনি মালিকের প্রিয়তম বন্ধু খালিলুন,
তিনিই আদিলুন ন্যায়বিচারে যিনি অতুলনীয়।
রাহমানির রাহিমের সাথে একান্তে আলাপকারী
সূক্ষ্মদর্শী এক আলো তিনি,
তিনিই মুহাম্মদ, তিনিই আহমদ।
মরুবাসী উম্মি আরব তরুণটির তারুণ্যের সত্যবাদিতায়
ভালোবেসে সবাই নাম রেখেছিল আলআমিন,
সত্যবাদী তিনি,বিশ্বাসের জীবন্ত উপমা।
তিনি খালিকের সর্বোত্তম বন্ধু হাবীবুল আওলা,
তিনি যাহিরুন, তিনি বাতিনুন, রাহমাতুল্লিল আলামিন।
প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য তিনিই শান্তি,
তিনি রাউফুর রাহিম –সদয় সাহায্যকারী,
পিতৃহীন এক ধনাঢ্য দয়ালু দানবীর,
তিনি পূত, পবিত্র, নিষ্কলুষ এক সুবক্তা, একজন দক্ষ নেতা।
তিনি সংরক্ষণকারী, সাহায্যপ্রাপ্ত প্রত্যক্ষকারী,
মহা ধৈর্য্যশীল তিনি প্রশংসনীয়, সর্বাধিক প্রশংসাকারী।
সাইয়্যিদুল মুরসালিন তিনি খাতিমুন নাবিয়্যিন,
তিনিই আমাদের বিশ্বনবী, সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল
হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা আহমদ মুজতবা
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
যাঁর স্মরণে পুরো নিখিল দরুদ পড়েন
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি,
যাঁর নামে ত্রিভুবন সালাম পাঠায়
ইয়া নবী সালাম আলাইকা।