ইয়াবার ব্যবসা করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও চট্টগ্রাম নগরীতে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৬২ হাজার ১২৮ টাকার সম্পদ গড়ে তোলা মো. আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি টেকনাফের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা। একসময় থাকতেন নগরীর ও আর নিজাম রোডে। গতকাল আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে চট্টগ্রামের মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে মো. আমিনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৬২ হাজার ১২৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ২৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন গোপনের কথা উল্লেখ করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়–২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদক জানায়, কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে মো. আমিনের কোন বৈধ উৎস ছিল না। বৈধতা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্রও তিনি দেখাতে পারেন নি। মূলত ইয়াবার ব্যবসা করে তিনি বিপুল পরিমাণের এসব সম্পদ গড়েছেন। আদালতে দাখিল করা চার্জশিট অনুযায়ী, মো. আমিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর ও কঙবাজারের বিভিন্ন থানায় মোট ১৪ টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই মাদকের মামলা। কয়েকটি রয়েছে অস্ত্র মামলাও। আদালতসূত্র জানায়, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পাচারকারীদের একজন হচ্ছেন মো. আমিন। টেকনাফে তিনি ইয়াবা আমিন নামে পরিচিত। ২০১৯ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইয়াবা কারবারি সাইফুল করিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে আমিনের।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৯ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদক চট্টগ্রাম মো. আমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।